প্রথম পাতা
আন্দোলনের সোনার হরিণ তো দেখা দিলো না
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৩ বছর ধরে কতো শুনলাম রোজার ঈদের পরে, কোরবানির ঈদের পরে, দেখতে দেখতে ১৩ বছর । দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীতে কতো পানি গড়িয়ে যায় কিন্তু ফখরুল সাহেবদের আকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস স্মরণে ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি: বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এ সভার আয়োজন করে। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আন্দোলন তরঙ্গময় করুন, আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। আন্দোলন করবেন, ব্যর্থ হলে- নন্দঘোষ আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কোনো দিনও দেখা দেবে না। এ দেশে ভিত্তি নিয়ে নির্বাচনে যেতে হয়, আন্দোলনে জিতলে নির্বাচনেও জেতা যাবে। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারবেন, ক্ষমতা পাওয়া যাবে না। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি এখনো দূর অস্ত।
এ কষ্ট সাময়িক, এ দুর্দিন চলে যাবে। শোকের মাসে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিন কয়টা? দুই দিন আগে দেখলাম, বেগম জিয়ার জন্ম দিবসে এবার কেক কাটা হচ্ছে না। ১৫ তারিখে কেক কাটা হয়নি। কিন্তু ১৬ তারিখে দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। বেগম জিয়া অসুস্থ, দোয়া মাহফিলে আমাদের আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু দোয়া মাহফিলের উপলক্ষ্য কি? উপলক্ষ্য খালেদা জিয়ার জন্মদিন। এখনো ভুয়া জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। একটা মানুষের কয়টা জন্মদিন? এ পর্যন্ত সর্বশেষ করোনা টেস্টে ষষ্ঠ জন্ম দিবস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এ তামাশার নাটক আর কতদিন করবেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যে তাদের বলেন, কষ্ট প্রকাশ করে কি করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুক্তির লড়াইয়ের আপসহীন কাণ্ডারি শেখ হাসিনা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান আলোচক ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।