বাংলারজমিন
বাউফল ইউএনও’র বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০২৫, রবিবারপটুয়াখালীর বাউফলে ওয়াকফ এস্টেটের ১১৮ একর জমি ইজারা দেওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করার অভিযাগ পাওয়া গেছে ওই জমির মোতায়ালির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। হাইকোর্টের আদেশ ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর নিমদী মৌজার ১৯ নম্বর ও আলগী মৌজার ১১ নম্বর খতিয়ানের সরকারি ওয়াকফ এস্টেটের মোট ১১৮ একর জমি ২০২০ সাল থেকে সরকারি বিধি অনুযায়ী টাকা জমা দিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলেন ইজারাদার মো. মোসলেম উদ্দিন পঞ্চায়েত। কিন' বাংলা ১৪৩১ সালে তৎকালীন মোতায়ালির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. বশির গাজী ইজারা হালনাগাদ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে মাসলেম উদ্দিন এ ব্যাপার হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন (যার নম্বর ৮৩৫০/২০২৪) দাখিল করলে হাইকোর্ট মোসলেম উদ্দিনকে ওই জমি ইজারা দেওয়ার জন্য আদেশ দেন। সেই আদেশ অনুযায়ী তৎকালীন মোতায়ালির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. বশির গাজী ইজারা দেন মোসলেম উদ্দিনকে । ওই জমি চলতি বাংলা ১৪৩২ সালের জন্য মোসলেম উদ্দিন ফের ইজারা হালনাগাদ করার জন্য বিধি অনুযায়ী ওয়াকফ এস্টেটের আগ্রণী ব্যাংকের বাউফল শাখার হিসাব নম্বরে (০২০০০১৫৭০৮৭৪৫) গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি মূল্যে ৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা জমা দেন। কিন' বর্তমানে মোতায়ালির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহি অফিসার আমিনুল ইসলাম ওই জমি ১৪৩২ সালের জন্য মোসলেম উদ্দিনকে ইজারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নিরুপায় হয়ে মোসলেম উদ্দিন আবার চলতি বছরের ৬ মে হাইকোর্টের শরনাপন্ন হন। হাইকোর্ট ২০২৪ সালের আদেশ পুনঃবহাল রেখে ছয় মাসের জন্য সি'তি অবস'ায় থাকার আদেশ দেন। হাইকোর্টের ওই আদশের কথা উল্লেখ করে গত ১৯ জুন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার এএসএম নুরুল আখতার নিলয়ের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যম ওই জমির মোতায়ালি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়াজনীয় ব্যবস'া নেওয়ার জন্য বলেন। কিন' আজ শনিবার পর্যন্ত ওই আদেশ মানা হয়নি।
ভুক্তভোগী মোসলেম উদ্দিন পঞ্চায়েত বলেন, অমি ওয়াকফ এস্টেটের একজন ওয়ারিশ। সরকারি বিধি মেনে ওয়াকফ স্টেটের জমি ২০২০ সাল থেকে ইজারা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। মহামান্য হাইকোর্ট ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমাকে ওই জমি হালনাগাদ ইজারা দেওয়ার জন্য বলা হলেও উপজেলা নির্বাহি অফিসার আমিনুল ইসলাম তা আমলে নিচ্ছেন না। আদালতরে নির্দেশ অমান্য করে উল্টো সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার ইজারা নেওয়া জমিতে সাইনবের্ড টাঙিয়ে আমাকে জমিতে চাষাবাদ না করার জন্য নির্দেশ দেন। ওই জমির মোতায়ালি বাউফল উপজেলা নির্বাহি অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের আদেশের কপি এবং এ সংক্রান্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কোন চিঠি আমি পাইনি। ওই জমি চলতি বাংলা ১৪৩২ সালের জন্য কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি।