বিশ্বজমিন
ইরান অভিযানে মোসাদের প্রশংসা, সিআইএ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা
মানবজমিন ডেস্ক
(২ দিন আগে) ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ অপরাহ্ন

ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত ১২ দিনের বিমান অভিযানকে ঐতিহাসিক বলে অভিহিত করেছে এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। বুধবার এক ভিডিও বিবৃতিতে মোসাদ প্রধান ডেভিড বারনেয়া বলেন, ইসরাইল এখন একটি সাহসী ও নিরাপদ দেশ। এই অভিযানের ফলেই তা সম্ভব হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইসরাইল।
অভিযানটি পরিচালিত হয় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে। মোসাদের মতে, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে এবং তাদের সেই কর্মসূচি বহু বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানে মোসাদের এজেন্টরা ইরানের ভেতরে গোপনে ড্রোন এবং অস্ত্র বহন করে প্রবেশ করে, এমনকি স্যুটকেস, কন্টেইনার এবং ট্রাকের মাধ্যমেও ড্রোন প্রবেশ করানো হয়। তারপর এগুলো স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে সক্রিয় করে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলোতে হামলা চালানো হয়। এই অভিযানের পেছনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’রও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মোসাদ জানায়। সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্র ও পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ইরানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে, যেগুলো পুনরায় নির্মাণে বহু বছর লেগে যাবে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির একই দিনে জানান, ১২ দিনের লড়াই ছিল নজিরবিহীন এবং এর মাধ্যমে আমরা কৌশলগতভাবে ইরানের পরমাণু কার্যক্রমকে পেছনে ঠেলে দিয়েছি। তিনি আরও দাবি করেন, ইসরাইলি কমান্ডো বাহিনী ইরানের অভ্যন্তরে গোপন অভিযানে অংশ নেয় এবং মাটির নিচে থাকা অস্ত্রঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে দেয়। তিনি বলেন, আমরা শুধু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ক্ষমতা বিপর্যস্ত করিনি, বরং তাদের সামরিক পুনর্গঠন প্রচেষ্টাও বেশ কয়েক বছর পিছিয়ে দিয়েছি। জামিরের এই বক্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ইসরাইলি বাহিনী ইরানের আকাশসীমায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, যা আগে কখনো দেখা যায়নি।
অভিযানের শুরু হয় ১৩ জুন রাতে। ওই রাতে ইসরাইল একযোগে ইরানের সামরিক, পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে। ইরান এর জবাবে প্রায় ৫৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও এক হাজারের বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনায়। এতে ২৮ জন নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয় বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়। ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে আবাসিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।