নবজাতকের জীবন রক্ষায় সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘এসডাব্লুএপি’ প্রকল্প

নবজাতক ও মায়েদের জীবন রক্ষায় কার্যকর উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিন বছরের ‘এসডাব্লুএপি’ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় নবজাতক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহযোগিতায় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। সমাপ্তি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হয় একটি ‘লার্নিং ডিসেমিনেশন ও সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠান। যেখানে স্বাস্থ্যখাতের সরকারি, বেসরকারি এবং উন্নয়ন অংশীদারদের বিশিষ্ট প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া এই সেইভিং উইমেন অ্যান্ড প্রিম্যাচিউর বেবিস প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল জটিল গর্ভাবস্থায় থাকা মা ও ছোট এবং অসুস্থ নবজাতকদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। ঢাকা, সিলেট ও লক্ষ্মীপুর জেলার পাঁচটি সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে। হেলথ সিস্টেম ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. জয়নাল আবেদিন টিটোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসিপিএস সভাপতি ও নবজাতক স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শাহিদুল্লাহ। এ ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন এমসিআরএএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. সোহেল হাবিব, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. সুলতান আহমেদ, বিপিএস’র সভাপতি প্রফেসর মেজর (অব.) ডা. লায়লা আরজুমান বানু, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. উমর রশীদ মুনীর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা. মোহাম্মদ শাহিদুল্লাহ বলেন, আমি আমাদের বাস্তবায়ন সহযোগীদের, বিশেষ করে সেভ দ্য চিলড্রেন-কে ধন্যবাদ জানাই কম খরচে তাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার জন্য। তিনি বলেন, নিওনেটাল লাইভের (এনএনএল) হ্যান্ডস-অন প্রশিক্ষণ খুবই কার্যকর হয়েছে এবং ফ্যামিলি সেন্টারড কেয়ারে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিষ্ঠা প্রশংসনীয়। আমাদের অবশ্যই মায়েদের অগ্রাধিকার দিতে হবে, কারণ সুস্থ নবজাতকের জন্য সুস্থ মা অপরিহার্য। ডা. মো. জয়নাল আবেদিন টিটো বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, আর এটি সম্ভব হয়েছে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। এখন সময় এসেছে এই কার্যকর হস্তক্ষেপগুলো উপজেলা পর্যায়ে বিস্তারের। সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর এ. এস. এম রহমত উল্লাহ বলেন, আমরা এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন নিয়ে গর্বিত। আমি আমাদের বাস্তবায়ন সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।