দেশ বিদেশ
সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পিআর পদ্ধতিসহ ৪ দাবি জামায়াতের
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবারআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন পুনর্বহাল করে গেজেট প্রকাশের পর গতকাল সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে এই দাবি তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। এ ছাড়া প্রবাসী ভোট, পিআর ভোট পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা সেরেছে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল। সিইসি’র সঙ্গে বৈঠকের পর হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে। আমাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা। এটা এবারের জন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন সেই ফর্মে নির্দলীয় সরকারে আসবে তার অধীনে করা। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা আগেও বলেছি আমরা ইলেকশন কমিশন, সরকার-সবকিছু অবজার্ভ করে চলেছি।
সুতরাং এই জায়গায় আস্থা-অনাস্থার বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করছি না। আমরা অবজার্ভ করছি এবং এ পর্যন্ত যে জায়গায় সঠিক কাজ করেছে আমরা সেটা সঠিক বলবো। কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলবো। যদি ব্যত্যয় ঘটে সে জায়গায় কথা বলতে হবে। এজন্য আমরা অবজার্ভ করছি। আমরা আশাবাদী উনারা ভবিষ্যতে জনআস্থাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবে। এদিকে বৈঠকে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে (পিআর) ভোটের বিষয়েও আলোচনা করেছে জামায়াত। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পিআর পদ্ধতি হচ্ছে সুন্দর পদ্ধতি। ইসি’র কাছেও আমরা আনুষ্ঠানিক বৈঠকের মধ্যদিয়ে এটা দাবি উত্থাপন করেছি। এ ছাড়া প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট ও অনলাইন পদ্ধতিতে ভোটের পক্ষে মতামতও তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পোস্টাল ভোটার, অনলাইন ভোটার পদ্ধতি যেগুলো আছে এগুলো ভোট গ্রহণের জন্য পদ্ধতি হিসেবে নিতে পারেন।
ওদিকে জামায়াতের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ফিরে পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতীকসহ নিবন্ধন পুনর্বহাল করায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। অন্যায়- অবিচার ধামাচাপা দিয়ে জোরপূর্বক রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ন্যায়কে চাপিয়ে রাখা যায় না। বিগত সরকারের আমলে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও দলীয় প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়। তিনি বলেন, চরম অন্যায় করা হয়েছিল। আমাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছিল। গতকালের গেজেট আমাদের সেই অধিকার আদালতের আদেশের মাধ্যমে ফিরে এসেছে এবং দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে। আদালতের আদেশের পর গেজেট প্রকাশে গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, আমরা এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছি। এখন আগামী নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে অংশ নেবো। জনগণের পছন্দের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেয়ার যে বাধা ছিল এটা উঠে গেছে এবং এটা আরেকটা নতুন দৃষ্টান্ত হয়েছে।