অবশেষে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি ইসরাইলের

অবশেষে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরাইল। তবে জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হলে কঠোর জবাব দেবে ইসরাইল। দেশটির সরকারের বিবৃতি উল্লেখ করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ইসরাইল জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে হামলার মাধ্যমে ‘লক্ষ্য অর্জন’ করার পরই তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, ইসরাইল ইরানের তাৎক্ষণিক অস্তিত্বগত হুমকি পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করেছে। তারা আরও বলেছে, তারা ইরানের সামরিক নেতৃত্বে ব্যাপক ক্ষতি করেছে এবং তেহরানের কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে। ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনী ‘তেহরানের কেন্দ্রে সরকারি স্থাপনায় প্রচণ্ড হামলা চালিয়ে কয়েক শত বাসিজ সদস্যকে হত্যা করেছে’ এই বাসিজ বাহিনীকে ইরানি সরকার প্রায়ই বিক্ষোভ দমন ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করে। ‘আরেকজন সিনিয়র পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে’ বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ইরানের পরমাণু হুমকি নির্মূলে তাদের সহায়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে ইসরাইল।

এর আগে বাংলাদেশ সময় রাত ৪টায় ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, ইরান ও ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সকাল ১১:০৮টায়  ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে জানান যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। সকাল ১২:১০ টায় ইসরাইল জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সোমবার দিবাগত রাতে ইরান জানায়, ইসরাইল হামলা বন্ধ করলে তারাও হামলা বন্ধ করবে। যুদ্ধবিরতির আগে উভয় দেশই রাতভর ব্যাপক গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। ইরানে কতজন হতাহত হয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিবিসির সাংবাদিকরা বলছেন, তেহরান একটি ভয়াবহ রাত পার করেছে। ইসরাইল বলছে, দক্ষিণ ইসরাইলের বিরশেভা শহরে কমপক্ষে ৪ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছে।