১০ বছর পর ফের আলোচনায় ডি ক্রুইফ ও রেনে কোস্টার

বাংলাদেশের ফুটবলে শুরু হয়েছে নতুন দিনের সূচনা। সুদূর ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে এসেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের বর্তমান অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। এরপর একে একে বাংলাদেশের শিবিরে যোগ দিয়েছেন তারিক কাজী, কাজেম শাহর মতো প্রবাসী ফুটবলাররা। ২০২৫ এ এসে নতুন করে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নেমেছেন হামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম, শমিত সোমরাও। বাংলাদেশ দলের পাইপলাইনে নতুন প্লেয়ারদের আগমন বাড়ছে। এবার কোচিং প্যানেলের দিকেও মনোযোগ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশের পুরনো কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ এবং সহকারী কোচ রেনে কোস্টার। 
সর্বশেষ ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ  নাসিরউদ্দিন-মামুনুলদের সে দলের কোচ ছিলেন নেদারল্যান্ডসের লোডভিক ডি ক্রুইফ। 
এদিকে চলতি জুনে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদে সাইফুল বারী টিটুর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এমন অবস্থায় ফের আলোচনায় এসেছে ক্রুইফ এবং রেনে কোস্টারের নাম। ২০১৩ থেকে তিন বছর বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে ছিলেন তারা। তবে সেসময়ে খেলোয়াড়দের ডিসিপ্লিন ইস্যু সামনে চলে এসেছিল। এ নিয়ে তখন তোলপাড় কম হয়নি। সেই দায় পরোক্ষে ডাচ কোচ এড়াতে পারেননি। তাছাড়া বকেয়া বেতন নিয়ে সহকারী রেনে কোস্টা ফিফার দ্বারস্থও হয়েছিলেন। তাই পরবর্তীতে বড় অঙ্কের জরিমানাও দিতে হয়েছিল কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বাফুফেকে। 
তবে নতুন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আবারও চুক্তি করবেন কিনা এ ডাচ কোচরা তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি বাফুফে। নতুন চুক্তির এবং বাংলাদেশে আসার বিষয়ে ৫৫ বছর বয়সী ক্রুইফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আলোচনা (বাফুফের সঙ্গে)  সম্পর্কে অবগত, এই মুহূর্তে আমি বিনীত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ‘ 
রেনে কোস্টার বলেন, ‘নিউজ যেহেতু হয়েছে সেক্ষেত্রে চুক্তি হতেও পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশে বয়সভিত্তিক দল নিয়ে কাজ করে সাফল্যের কথা আমার মনে আছে।’