খেলা
বাংলাদেশের বিপক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড শ্রীলঙ্কার সব্যসাচী বোলারের
স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ জুন ২০২৫, সোমবার
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের গল টেস্টে অভিষেক হয়েছে থারিন্দু রত্নায়েকের। এই সব্যসাচী স্পিনার টাইগারদের বিপক্ষে রানও খরচ করেছেন দু’হাতে। ড্র হওয়া গল টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেট নিতে তিনি রান দিয়েছেন ২৯৮। অভিষিক্ত টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার রেকর্ডে শীর্ষ তিনে নাম উঠেছে এই লঙ্কান স্পিনারের।
এই তালিকায় থারিন্দুর ওপরের দু’জন পাকিস্তানের জাহিদ মেহমুদ ও অস্ট্রেলিয়ার জেসন ক্রেইজা। ২০০৮-এ ভারতের বিপক্ষে নাগপুর টেস্টে অভিষিক্ত অফ স্পিনার ক্রেইজা দুই ইনিংস মিলিয়ে রান দেন ৩৫৮। তবে দুই ইনিংসে তিনি উইকেট নেন যথাক্রমে ৮ ও ৪টি। আর স্রেফ ১৭ রান খরচ করলেই তিনি ভাঙতেন এক টেস্টে সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড। ১৯৩০-এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিংসটনে ৯ উইকেট নিতে গিয়ে ৩৭৪ রান দেন ক্যারিবিয়ান লেগ স্পিনার টমি স্কট। সেবার ক্রেইজা ভাঙেন ৯৯ বছর আগের রেকর্ড। ১৯০৯-এ ইংলিশ লেগ স্পিনার ডগলাস কার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভালে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিতে খরচ করেন ২৮২ রান। লাল বলের ক্রিকেটের অভিষেকে ক্রেইজা ছাড়া ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ ছোঁয়া অন্য বোলার শুধুমাত্র জাহিদ মেহমুদ। ২০২২-এ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে এই লেগ স্পিনার খরচ করেন ৩১৯ রান, নেন ৬ উইকেট। যদিও অন্যভাবে ক্রেইজার চেয়ে এগিয়ে জাহিদ। ঘরের মাঠে সেবার ওভারপ্রতি ৭.২৫ রান দেন এই পাকিস্তানি বোলার। টেস্টে এক ম্যাচে ১৬৩ রানের বেশি যারা খরচ করেছেন, তাদের মধ্যে এমন দৃষ্টিকটু ইকোনমি নেই আর কারও।
আরও দু’টি রেকর্ড ভেঙেছেন ২৯ বছর বয়সী থারিন্দু। লঙ্কানদের ৪৩ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে এত রান দেননি আর কেউ। আগের রেকর্ডটি ছিল লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার। ২০১৯-এ করাচিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২৬৪ রান খরচ করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। বাংলাদেশের বিপক্ষেও রান খরচে সবার ওপরে থারিন্দুই। এর আগে টাইগারদের বিপক্ষে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার রেকর্ড ছিল সিকান্দার রাজার। ২০১৪তে চট্টগ্রাম টেস্টে বল হাতে ২৩৭ রান খরচ করেন এই জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে একই ম্যাচে দুই বোলারের ২৪০ রানের বেশি দেয়ার প্রথম উদাহরণ গড়েছেন থারিন্দু ও প্রবাত জয়সুরিয়া। গলে এই দুজনের থেকেই মোট ৫৪৪ রান পেয়েছে বাংলাদেশ দল।