বাংলারজমিন
সিসিক মেয়রের বিরুদ্ধে পুকুর দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৮ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে নগরীর হিন্দু আনী পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভূমিখেকোদের সঙ্গে নিয়ে পুকুরটি দখল করতে সিসিক’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ব্যবহার করছেন তিনি। এছাড়া উচ্চ আদালতের স্থিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও ‘জনগণের পুকুর’- দাবি করে এটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আরিফ। বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র আরিফের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন সৈয়দানী বাগ (সৈয়দ বাড়ি) এলাকার বাসিন্দা এডভোকেট সৈয়দ খালেদ হোসেন মাহতাব। হিন্দু আনী পুকুর সৈয়দ খালেদের মৌরসী সম্পত্তির অংশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট সৈয়দ খালেদ হোসেন মাহতাব বলেন, হিন্দু আনী পুকুর তাদের মৌরসী সম্পত্তির অংশ। বংশ পরম্পরায় পুকুরটি ভোগদখল ও মৎস্য চাষ করে আসছেন তারা। গত ৯ই আগস্ট সকালে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্দেশে সিসিক’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হিন্দু আনী পুকুরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে সম্পত্তির মালিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে চাইলে সিসিক’র পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার রশিদ বলেন, মেয়রের নির্দেশে পরিষ্কার- পচ্ছিন্নতার কাজ করা হচ্ছে। এ সময় পুকুরটি পরিচ্ছন্নতার কাজে আসা লোকদের সঙ্গে কতিপয় ব্যক্তি এসে গালিগালাজ শুরু করেন। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করলে মালিকগণ চলে যান। পরে পুলিশ মোতায়েন করে পুকুরে কাজ অব্যাহত রাখেন মেয়র আরিফ। সৈয়দ খালেদ হোসেন মাহতাব বলেন হিন্দু আনী পুকুরটি আমাদের মৌরসী সম্পত্তি। এটা জনসাধারণের কোনো পুকুর নয়। পুকুরের অন্যতম রেকর্ডীয় মালিক মোছা. আছক বানুর কন্যা মোছা. আমিনা খাতুনদের কাছ থেকে সৈয়দ আজিজুল হোসেনরা ক্রয় করেন। আমিনা খাতুন হলেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মা। ক্রয় সূত্রে সৈয়দানীবাগ হিন্দু আনী পুকুরটি পূর্বসূরিদের আমল থেকে ‘সৈয়দ মৎস্য খামার’ হিসেবে মাছ চাষ করে আসছিলেন আজিজুল হোসেনসহ ক্রয়কারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪-৭৫ সালে পুকুরটি সংস্কার করা হয়। পরবর্তীতে সৈয়দ নুরুল হোসেনের উত্তরাধিকারী সৈয়দ নাহিদ রহমান সাব্বির এবং সৈয়দ খাদিম হোসেনের উত্তরাধিকারী সৈয়দ তাজিদুল হোসেন বাবুল পুকুরটি বংশ পরম্পরায় ভোগদখল ও মৎস্য চাষ করে আসছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ বখতিয়ার হোসেন, সৈয়দ আফজাল হোসেন, এডভোকেট সৈয়দ খালেদ হোসেন, সৈয়দ রাহাদ হোসেন, সৈয়দ মাহিদ রহমান সাব্বির, সৈয়দ আশরাফ হোসেন, সৈয়দ আতাউর হোসেন সাজুল, সৈয়দ ফজিলত হোসেন, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মো. ফারুক আহমদ, মহনুর রহমান (মখই মিয়া), তুলা খাঁ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. কামাল আহমদ, সৈয়দা ফাহমিদা হোসেন, সৈয়দ তারেক হোসেন, এডভোকেট সৈয়দা হেলেন বেগম, মো. হাবিবুর রহমান (হাসাদ), মাহমুদ ইয়াসিন, মতিন আহমদ, মো. হোসেন, আব্দুল আহাদ, শিমুল আহমদ, রুমেল খান।