রাজনীতি
পদে পদে মানুষকে হতাশ করছে সরকার: আলাল
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৭:২৬ অপরাহ্ন

অন্তর্বর্তী সরকার পদে পদে মানুষকে হতাশ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে’ এক যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারকে উদ্দেশে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ১০ মাস প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আপনারা এখনো পর্যন্ত তেমন কিছু জনগণকে দেখাতে পারেননি। পদে পদে মানুষকে হতাশ করেছেন। জিনিসপত্রের দাম কমেনি, গ্যাসের সংকট অনেক বেশি হয়েছে, বিদ্যুতে লোডশেডিং বেড়েছে, পানি সরবরাহ আগের মতো সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আপনারা ত্রুটি করেছেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু, করোনা, চিকনগুনিয়া ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। কোথায় আপনাদের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। কোথায় তার কর্মতৎপরতা। বাজারে গেলে মানুষ তার পকেটে হাত দিতে পারে না। মনে হয় পকেট ছিদ্র হয়ে সবকিছু পড়ে গেছে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও আলাল আরও বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর জঞ্জালদের যদি পরিষ্কার না করেন, বঙ্গভবন-ইউনিয়ন পরিষদ, গণভবন-সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড পর্যন্ত সব জায়গায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা এই ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ করে দেবো। সেই তালিকা জনসম্মুখে সাংবাদিকদের দেবো। দেয়ালে দেয়ালে টাঙিয়ে দেবো সারা বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, কারা ফ্যাসিবাদের দোসর, কারা এখনো ঘাপটি মেরে দুর্নীতি করছেন, মানুষের অধিকার বঞ্চিত করছেন এবং যেখানে খুশি সেখানে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন। সুতরাং সাবধান হয়ে যান। আমাদেরকে যাতে সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে না হয়। আমাদেরকে যাতে সেই তালিকা দিতে না হয়। জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পালনের সঙ্গে সঙ্গে যদি এই দাবি পূরণ না হয় তাহলে আমরা সত্যিকার অর্থে সেই তালিকা প্রকাশ করে দেবো। ফ্যাসিবাদের দোসররা কোথায় এবং কোন পর্যায়ে রয়েছেন। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা দাপটের সঙ্গে রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন আলাল।
আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি এম এ আজাদ চয়নের সভাপতিত্বে সমাবেশে আর বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।