রাজনীতি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: খসরু
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ দিন আগে) ১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ২:৪০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:১২ অপরাহ্ন

গণতন্ত্র ফেরাতে বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সেই পথেই দেশ অগ্রসর হবে। আর দেশের মানুষ গত ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র উত্তরণ চান। এটিই ছিল আন্দোলনের মূল প্রত্যাশা। প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস), বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন। আর ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে তারা সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন। একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে- জামায়াত ও এনসিপির এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাহলে এখানে সবার মতামত নেয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং সবাই তার মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই তার নিজের মতামত দিবে। এরমধ্য দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল-এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময় এবং এতটুকু সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগেই ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং ফেব্রুয়ারি আরও দীর্ঘ সময়। তবে যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই। আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐক্যমতের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐক্যমতের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন- এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।
পাঠকের মতামত
জী ঠিক বলেছেন, গণতন্ত্র ফেরানোর নামে আবার পরিবারতন্ত্র চালু করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।