সচিবালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত কর্মচারীদের

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মচারীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে সমবেত হন তারা। এক পর্যায়ে তারা বসে পড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটির কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর ও মো. নুরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব নজরুল ইসলামসহ অন্য নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভে অংশ নেয়া কর্মচারীরা নানা স্লোগান  দেন সচিবালয় এলাকায়। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪শে মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫শে মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে কাউকে চাকরিচ্যুত করা যাবে। অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সর্বশেষ ঈদের ছুটির আগে ৩রা জুন পর্যন্ত সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। সরকারের সাতজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। ১৫ই জুনের মধ্যে চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না করলে ১৬ই জুন থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছিলেন কর্মচারী নেতারা। এর মধ্যে গত ৪ঠা জুন সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি সোমবার প্রথম বৈঠকে বসছে। কমিটির সুপারিশ দেয়া পর্যন্ত কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।