দেশ বিদেশ
ই-ক্যাবের নির্বাচন থামাতে ষড়যন্ত্র
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ ঘন্টা আগে) ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৬:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৮ অপরাহ্ন

ই-কমার্স খাতের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্যে বহুল প্রত্যাশিত ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন বন্ধ করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পতিত স্বৈরাচারের দোসর ও সুবিধাভোগী একটি গোষ্ঠী। নির্বাচন হলে তাদের আধিপত্য থাকবে না সেই ভয়ে তারা এখন নির্বাচন ঠেকাতে উঠেপড়ে লেগেছে।
জানা যায়, ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচার পতনের পর থেকেই নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন উপায়ে ই-ক্যাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। প্রথমে সহায়ক কমিটির মাধ্যমে ই-ক্যাব চালানো এবং নির্বাচন ছাড়া সহায়ক কমিটি দিয়েই লম্বা সময় ই-ক্যাব চালানোর চেষ্টা করে তারা। সাধারণ সদস্যদের চেষ্টায় তাদের এই পরিকল্পনা সফল হয়নি এবং প্রশাসকের দৃঢ়তায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। এরপর থেকেই ওই চক্রটি বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক তদবির, হুমকি ধামকি দিয়ে নির্বাচন পেছানো ও স্থগিতের চেষ্টা করে আসছে। আর এই সবের পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ উঠেছে ই-ক্যাবের সদস্য ও ই-কুরিয়ার এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিপ্লব ঘোষ রাহুলের বিরুদ্ধে। জুলাই বিপ্লবে মোহাম্মদপুর এলাকায় হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য এই বিপ্লব ঘোষের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা রয়েছে। শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, ফজলে নূর তাপস, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ মামলার আসামীদের মধ্যে অন্যতম বিপ্লব ঘোষ। এই বিপ্লব ঘোষ রাহুলের সঙ্গে ই-ক্যাবের নির্বাচনের বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের আরেক সুবিধাভোগী সোহেল মৃধার বিরুদ্ধে। এই সোহেল মৃধা ই-ক্যাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার ও বিতর্কিত জয়েন্ট সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার নিশার আস্থাভাজন ও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ লোক বলেও পরিচিত। তাদের সঙ্গে একাধিক ছবি রয়েছে এই সোহেল মৃধার। আর এই বিপ্লব ও সোহেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বিপুর ক্যাশিয়ার ক্ষ্যাত খাইরুল করিম অন্তুর বিরুদ্ধে। ই-ক্যাবের সাধারণ সদস্যরা বলছেন- যারা বছরের পর বছর ই-ক্যাবকে নিজেদের সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছেন, তারা আজ ভোটের ভয়ে আতঙ্কিত। তাই তারা নির্বাচন স্থগিত বা পেছানোর চেষ্টা করছেন। তাই ই-ক্যাবের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ না থেকে কাদা ছোড়াছুড়ি করলে এই সেক্টর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।
ই-ক্যাবের প্রশাসক সাঈদ আলী ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বলেন, ই-ক্যাব কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই নির্বাচন সঠিক সময়ে হতেই হবে। সঠিক সময়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকলে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তবে এইসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিপ্লব ঘোষ রাহুল, সোহেল মৃধার ও অন্তু করিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ ও তাদের মুঠোফোনে কল ও বার্তা পাঠিয়েও কোনো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।