হরমুজ প্রণালী কি বন্ধ করে দেবে ইরান?

যুদ্ধের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীতে ইরান অবরোধ করতে পারে। সেখানে স্বাভাবিক সামুদ্রিক চলাচল বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে বহুদিন ধরে। এবার যখন ইসরাইল ইরানে হামলা চালিয়েছে তখন সেই আশঙ্কা আরও জোরালো হয়েছে। দৃশ্যত এ কারণেই এবং ইসরাইলি স্বার্থকে সুরক্ষিত রাখতে ভূমধ্যসাগরে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধজাহাজ নিমিটজ মোতায়েন করেছে। অনলাইন আল জাজিরা বলছে বৃটেনভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের খোর ফাক্কান বন্দরের প্রায় ২২ নটিক্যাল মাইল (৪১ কিমি) পূর্বে অবস্থিত হরমুজ প্রণালী। এর কাছে সমুদ্রে যে ঘটনার খবর আগে জানানো হয়েছিল, তা নিরাপত্তাজনিত নয়।

ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি তেহরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানার পর অ্যামব্রে এই সতর্কতা জারি করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইএনএন জানায়, দেশটির একজন প্রভাবশালী রক্ষণশীল সংসদ সদস্য ইসমাইল কোসারি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেন, ইসরাইল যখন ইরানে হামলা জোরদার করছে, তখন হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা হয়, তবে তা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। হরমুজ প্রণালী হলো পারস্য উপসাগরে প্রবেশের একমাত্র সামুদ্রিক পথ। এটি একদিকে ইরান এবং অন্যদিকে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পৃথক করেছে এবং পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগর ও ভারত মহাসাগরের আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই পথ দিয়েই বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পরিবহন করা হয়।