ইরাকের জাদিদাত আরার ক্রসিং দিয়ে দেশে ফিরছেন ইরানের হজযাত্রীরা

অবশেষে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন সৌদি আরবে আটকে পড়া ইরানি হজযাত্রীরা। রোববার (১৫ জুন) থেকে ধাপে ধাপে শুরু হয়েছে এই প্রত্যাবর্তন। আকাশ ও স্থল পরিবহনের মাধ্যমে যৌথভাবে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ফলে তেহরানের আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম আশরাক আল আওসাত জানিয়েছে, ইরাকের জাদিদাত আরার সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে দেশে ফিরছেন ইরানের হজযাত্রীরা। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশনা এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরামর্শে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রথম দফায় হজযাত্রীরা মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি-ইরাক সীমান্তবর্তী আরার বিমানবন্দরের পৌঁছাবেন। সেখান থেকে বাসযোগে তারা ইরাকের জাদিদাত আরার সীমান্ত অতিক্রম করবেন।

তেহরানের হজ ও যিয়ারত সংস্থাও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ১৫ জুন থেকে ইরানি হজ যাত্রীদের দেশে ফেরা শুরু হয়েছে। দেশটির বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, এই যাত্রা পরিকল্পনা সৌদি সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। হজযাত্রীরা সৌদি এয়ারলাইন্সে মদিনা থেকে আরার বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে নির্ধারিত বাসে তারা যাবেন ইরাকের পবিত্র শহর নাজাফ ও কারবালায়। সেখানে আহলে বাইতের মাজার জিয়ারত শেষে ইরানি পরিবহন ব্যবস্থায় তারা নিজ দেশে প্রবেশ করবেন। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন যেন ইরানি হজ যাত্রীদের নিরাপদ ও সহজ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা হয় এবং বর্তমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতেও তাদের যাত্রা নির্বিঘ্ন হয়। 
ইরান-সৌদি সরাসরি ফ্লাইট স্থগিত থাকায় একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রায় ৭৭ হাজার ইরানি হজযাত্রীকে ফিরিয়ে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ চলছে। প্রথম দল ইতিমধ্যে জাদিদাত আরারে পৌঁছেছেন। এভাবে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার হজযাত্রীকে ইরানে ফেরত নেয়া হচ্ছে।