বাংলারজমিন
ফটিকছড়িতে গোসলে নেমে নানি-নাতনির মৃত্যু
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবারচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ধুরুং নদীতে গোসল করতে নেমে নানি শাহানু বেগম (৪৫) ও নাতনি মুনতাহা (৮) নিখোঁজের তিন ঘন্টা পর নানি ও চার ঘন্টা পর নাতনির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনার এক ঘন্টা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছালেও ডুমুরিদল না থাকায় স্থানীয়দের সাথে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে পারেনি তারা। এদিকে ডুবুরী দল না থাকায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় উদ্ধার কাজে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের।সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার কাঞ্চন নগরের মানিকপুর গ্রামের মহিষের ঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শাহানু বেগম ওই গ্রামের মৃত বদিউল আলমের স্ত্রী ও শিশু মুনতাহা একই এলাকার মোহরম আলীর কন্যা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে দুই নাতনি সুমাইয়া ও মুনতাহাকে নিয়ে বাঁশের ভেলায় করে নদীতে গোসল করতে নামেন নানি শাহানু বেগম। মুহুর্তেই নাতনি মুনহাতা বাঁশের ভেলা থেকে পড়ে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাচাঁতে গিয়ে অপর নাতনিসহ খালে পড়ে যায় নানি নিজেও। পরে নাতনি সুমাইয়া সাতরিয়ে কুলে উঠতে সক্ষম হলেও পানিতে ডুবে যায় নানি শাহানু ও নাতনি মুনতাহা। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তল্লাশী চালিয়ে ঘটনার তিন ঘন্টা পর নানির মরদেহ উদ্ধার করেন। নানির লাশ উদ্ধারের এক ঘন্টা পর নাতনির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রমজান বলেন, ‘নদীতে পড়ে নাতি-নাতনি নিখোঁজের চার ঘন্টা পর এলাকাবাসী তল্লাশী চালিয়ে নানি-নাতনিকে উদ্ধার করে। তবে ডুবুরী দল না থাকায় ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানিতে নামতে পারেনি।’
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে নদীতে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছি। যেহেতু আমাদের সাথে কোনো ডুবুরি সদস্য নেই সেহেতু আমরা বিষয়টি জেলায় জানিয়েছি। সেখান থেকে ইতিমধ্যে ডুবুরি দল রওয়ানা দিয়েছেন বলে আমাদের নিশ্চিত করেছেন।’ ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনা শুনে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।