রাজনীতি
জামায়াতে ইসলামী
ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে যথার্থ নয়
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ১৪ জুন ২০২৫, শনিবার, ৩:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:০৮ অপরাহ্ন

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে যথার্থ নয় বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার সকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর ওই অভিমতে বলা হয়, ১৩ জুন লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী এটাকে খুবই স্বাভাবিক মনে করে।
এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ৬ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণার পর লন্ডন সফরকালে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদেশে যৌথ প্রেস ব্রিফিং এবং বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় বলে আমরা মনে করি। এর মাধ্যমে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ করেছে।
দেশে ফিরে প্রধান উপদেষ্টার অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে তার অভিমত প্রকাশ করা সমীচীন ছিল বলে মনে করে জামায়াত।
ওই অভিমতে আরও বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী মনে করে সরকার প্রধান হিসেবে কোনো একটি দলের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়। একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি করেছে। যেখানে বাংলাদেশে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল সক্রিয়ভাবে বিদ্যমান, সেখানে শুধু কোনো একটি দলের সঙ্গে আলাপ করে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সঠিক বলে বিবেচিত হতে পারে না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে বলে মনে করে জামায়াতে ইসলামী।
সরকারের নিরপেক্ষতা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে, তা নিরসনকল্পে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা জাতির সামনে স্পষ্ট করার জন্য আহ্বান জানায় দলটি।
পাঠকের মতামত
মতামত দিয়ে কি হবে? মানব্জমিন মতামত তো প্রকাশ করেনা !
আপনারা তো জাতীয় পার্টি হয়ে যাবেনেন এখন মনে হয়।সকালে এক রকম বিকালে আরেক রকম। ডঃ ইউনুস বুঝতে পেরেছে বি এন পি বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবে জনগনকে নিয়ে ভাবে। ওন্যরা নিজেদেরকে নিয়ে ভাবে। দেশ জনগন কাউকে চায়না।সঠিক কাজ করেছেন ডঃইউনুস সাহেব।সালাম জানাই আপনাকে। এতদিনে সঠিক বুঝেছেন। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের পূর্বকার দিনক্ষণ থেকে সরে আসার ঘোষনা যেমনটি যৌথ বিবৃতিতে প্রকাশ পেয়েছে তাতে বৃহৎ বড় দল বিএনপি সহ বেশ কিছু দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে।কিন্তু সংস্কার ও বিচার কখন শেষ হবে তার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকাতে অধিকাংশ মানুষের মনে ধোঁয়াশা এখনো রয়ে গেছে।
জামাত এ বিবৃতির মাধ্যমে বিভক্তি সৃষ্টি করলো।
শুরু হয়ে গেছে এবার জামাতি গাত্রদাহ !
জামায়াত এখন স্বার্থের রাজনীতি করে। বিএনপি'র সাথে জোটে করে অনেকগুলো আসন পেয়েছিল। জোট থেকে সরে গিয়ে একসময় ২-৩টা আসন পেয়েছিল। এবারের নির্বাচনী বিএনপি'র সাথে জোটে না থাকলে প্রতিটি আসনে ভোট পাওয়া যাবে বাট এমপি হওয়ার মত ভোট দু-একটি জায়গা ছাড়া কোথাও পাওয়া যাবে না।
জামাতের দিন শেষ।