খেলা
বাংলাদেশকে সিরিজ হারানোর নায়ক ওয়াসিম এবার মাস সেরার লড়াইয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক
৪ জুন ২০২৫, বুধবার
গেল মাসেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যে ইতিহাস গড়ার পেছনে দলটির অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের অবদান অন্যতম। এবার ওয়াসিমের সামনে দারুণ এক স্বীকৃতির হাতছানি। আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। মে মাসের সেরার লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্কটল্যান্ডের ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলান ও যুক্তরাষ্ট্রের মিলিন্দ কুমার। মঙ্গলবার গত মাসের সেরার লড়াইয়ে জায়গা পাওয়া পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করে আইসিসি। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লোয়ি টাইরন ও ভারতের জেমিমাহ রদ্রিগেজ।
শারজাহ্তে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৯ বলে ৫৪ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন ওয়াসিম। তবে ম্যাচটি যদিও জিততে পারেনি তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে ছক্কা ও ৯ চারে ৪২ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জেতান ওয়াসিম। ২০৬ রানের লক্ষ্যে ২ উইকেট হাতে রেখে পৌঁছে যায় আমিরাত। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সেটাই তাদের প্রথম জয়। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন ওয়াসিম। তৃতীয় ম্যাচে যদিও মাত্র ৯ রানে ফেরেন তিনি। আলিশান শারাফুর ফিফটিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে আমিরাত। সিরিজ সেরার পুরস্কার ওঠে ওয়াসিমের হাতে। শুধু বাংলাদেশ সিরিজই নয়, গত মাসে ওয়াসিম উজ্জ্বল ছিলেন আইসিসি বিশ্বকাপ লীগ টুতেও। ৫০ ওভারের সংস্করণে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ৬১, ৪১ ও ৬১ রান করেছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে এপ্রিলের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ওয়াসিম। ফের সম্মাননাটি পাওয়ার সুযোগ তার সামনে। এই দৌড়ে ওয়াসিমের প্রতিদ্বন্দ্বী স্কটল্যান্ডের ম্যাকমুলান গত মাসে পাঁচ ওয়ানডেতে ২৩৩ রান করেন। এ সময়ে তার স্ট্রাইক রেট ১০৭.৮৭ ও গড় ৫৮.২৫। এছাড়া পেস বোলিংয়ে ওভারপ্রতি ৫.০৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে স্কটল্যান্ডকে ওয়ানডেতে রেকর্ড ৩৮০ রানের পুঁজি এনে দেন তিনি। পরে বল হাতে ৫৫ রান খরচায় ধরেন ৪ শিকার।
এই তালিকায় আছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিন্দ কুমারও। গত মাসে চারটি ওয়ানডে খেলে ৬৭ গড়ে ২০১ রান করেছেন তিনি। এছাড়া অফস্পিনে নিয়েছেন ৯ উইকেট। আইসিসি লীগ টুতে ওমানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন মিলিন্দ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একই ওয়ানডেতে ফিফটি (৬৮) ও পাঁচ উইকেটের (৫/৬৬) কীর্তি গড়েন তিনি। মাসের মাঝামাঝিতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন মিলিন্দ। কানাডার বিপক্ষে খেলেন ১১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস।