ঢাকা, ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৮ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

খেলা

পাঁচ বছর পর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ফুটবল

স্পোর্টস রিপোর্টার
৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
mzamin

হামজা চৌধুরী যোগ দেয়াতে নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে দেশের ফুটবলে। সেখানে নতুন সংযোজন হয়েছে শমিত সোম। লাল-সবুজের জার্সিতে খেলতে গতকালই ঢাকায় এসেছেন কানাডা প্রবাসী এই ফুটবলার। আগামী ১০ই জুন এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে হামজা, শমিতের সঙ্গে দেখা যেতে পারে ইতালি প্রবাসী ফাহমিদুল ইসলামকেও। ওই ম্যাচের প্রস্তুতিতে গতকাল ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ১৬৫৯ দিন পর ‘হোমে’ ফিরছে ফুটবল। ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ফুটবল ফেরার ম্যাচে অভিষেক হয়েছে হামজা-ফাহমিদুলের। ২০২১ সালের জুলাইয়ে সংস্কার কাজ শুরু হলেও ওই বছরের আগস্ট পর্যন্ত ঘরোয়া ফুটবল চলে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। এখানে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ২০২০ সালের ১৭ই নভেম্বর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এরপর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি জাতীয় স্টেডিয়ামে। দীর্ঘ এই সংস্কার কাজে দফায় দফায় বাজেট বেড়েছে। যা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে ১৫৮ কোটি টাকায়। ফ্লাডলাইট, অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক, গ্যালারি, প্রেসবক্স সব কিছুতেই এসেছে নতুনত্ব। বাংলাদেশের প্রথম স্টেডিয়াম হিসেবে গ্যালারির শেডে লাইট বসেছে। পৃথক দুই দেশের একই ভেন্যুতে প্রথম হোম ম্যাচ খেলার বিশেষ কীর্তিও ঢাকা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রথম হোম টেস্ট হয় ঢাকার স্টেডিয়ামটিতে। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টও এখানেই হয়েছে। শততম ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের সাক্ষীও এই জাতীয় স্টেডিয়াম। ২০১১ সালের ওয়ানডে ও ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধন; ১৯৮৫, ১৯৯৩ ও ২০১০ সালে এসএ গেমসের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের ভেন্যুও এটি। বাংলাদেশের ফুটবলের সোনালী অতীত এই স্টেডিয়ামের সঙ্গেই জড়িত। আবাহনী-মোহামেডান, ব্রাদার্সের অনেক কালজয়ী ম্যাচ হয়েছে এখানে। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বাংলাদেশ একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০০৩ সালে এই জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন আমিনুল হক-হাসান আল মামুনরা। বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বশেষ সাফল্য ২০১০ এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের কীর্তিও এখানে। ২০১১ সালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার সঙ্গে নাইজেরিয়ার ম্যাচ, কিংবদন্তি ফুটবলার জিনেদিন জিদানের আগমন, ১৯৭৮ সালে সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদ বক্সার মোহাম্মদ আলীর পা পড়েছিল এই স্টেডিয়ামে। 
দেশের ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে নতুন আবহে ফুটবলের নতুন প্রাণ ফেরানোর দায়িত্ব এখন হামজা-জামালদের কাঁধে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করছেন হাভিয়ের কারবেরা। এটি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে কোচ কাবরেরা, শেখ মোরসালিন, মিতুল মারমাদেরও প্রথম ম্যাচ।

খেলা থেকে আরও পড়ুন

খেলা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status