পাকিস্তানে জেল থেকে ৪৫-৫০ কয়েদির পলায়ন

করাচির মালির জেল থেকে ৪৫ থেকে ৫০ জন কয়েদি পালিয়ে গেছে। সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার এ কথা জানিয়েছেন। জেল কর্তৃপক্ষ বলছে, সোমবার করাচিতে ভূমিকম্পের সময় কয়েদিদের অস্থায়ীভাবে তাদের ব্যারাক থেকে বাইরে আনা হয়েছিল নিরাপত্তার জন্য। তখন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর মধ্যেই কয়েদিরা পালিয়ে যায়।

 মঙ্গলবার ভোরে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি জানান, ভূমিকম্পের সময় সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কয়েদিদের ব্যারাক থেকে বাইরে আনা হয়। কিন্তু এই সময় প্রায় ৭০০ থেকে ১,০০০ কয়েদি প্রধান ফটকের কাছে জড়ো হয়। 

মন্ত্রী জানান, এর মধ্যে প্রায় ১০০ জন কয়েদি জোর করে প্রধান গেট খুলে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনকে আটক করা হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ জন পলাতক রয়েছে। তবে জেল প্রশাসনের দাবি, পালিয়ে যাওয়া অন্তত ১০০ কয়েদির মধ্যে ৫০ জনের বেশি আবার ধরা পড়েছে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহকে অবহিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাকে ব্যক্তিগতভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পলাতক কয়েদিদের পরিচয় ও রেকর্ড জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। তাদের বাড়ি এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুতর এবং জেল স্টাফদের পক্ষ থেকে অবহেলা থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল যে, কোনো একটি জেল প্রাচীর ধসে পড়েছে। কিন্তু পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কয়েদিরা প্রধান ফটক দিয়েই পালিয়েছে, কোনও দেয়াল ভাঙা হয়নি। জেল পরিদর্শনে ইতিমধ্যেই কারাগার বিভাগের মহাপরিদর্শক কাজি নাজির মালির জেলে পৌঁছেছেন। সিন্ধুর কারাগারবিষয়ক মন্ত্রীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন। এর আগে ফ্রন্টিয়ার কোর (এফসি)-এর একটি বড় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। 

পলাতক কয়েদিদের খুঁজে বের করতে স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট, র‌্যাপিড রেসপন্স ফোর্স, পুলিশ, রেঞ্জার্স ও এফসি সদস্যদের যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের পর নিরাপত্তা বাহিনী কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নেয়।