বিশ্বজমিন
যৌন অপরাধের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪০ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর কাউন্টির একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক রজার মায়ার্স (৬১) স্কুল ক্যাম্পাসেই একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ ও নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিবিএস নিউজ।
বাল্টিমোর কাউন্টি পাবলিক স্কুল (বিসিপিএস) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ডিপ ক্রিক মিডল স্কুলে কর্মরত ছিলেন। এ বছর জানুয়ারি থেকে প্রশাসনিক ছুটিতে আছেন। স্কুল প্রিন্সিপাল লরা কেলি অভিভাবকদের উদ্দেশে এক চিঠিতে লিখেছেন, এই অভিযোগগুলো অত্যন্ত হতাশাজনক। বিসিপিএস তার কর্মীদের কাছে উচ্চ নৈতিক মান বজায় রাখার প্রত্যাশা করে এবং এই ধরনের আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। রজার মায়ার্স ১৯৯৬ সাল থেকে বিসিপিএসে কর্মরত এবং ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিপ ক্রিক মিডল স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সেলিং সুবিধা রাখা হয়েছে। মায়ার্স বর্তমানে বাল্টিমোর কাউন্টি ডিটেনশন সেন্টারে জামিন ছাড়াই আটক আছেন। যদি কেউ এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো তথ্য বা নিজেকে ভুক্তভোগী মনে করেন, তাদেরকে ৪১০-৮৮৭-৭৭২০ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে, অ্যান অ্যারুনডেল কাউন্টির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির সাবেক গণিত শিক্ষক ম্যাথিউ শ্লেগেল (৪৫)-এর বিরুদ্ধে আটজন শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিচার চলছে। অভিযোগ অনুযায়ী, আগস্ট ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৪ এর মধ্যে সেভারনা পার্ক ইলেমেন্টারি স্কুলে ক্লাস চলাকালীন তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালান। তার বিরুদ্ধে ৩৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিশু নিপীড়ন ও শারীরিক নিগ্রহ। ২০২৪ সালের মার্চে অভিযোগ প্রকাশের পর তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। শ্লেগেল ২০০৮ সাল থেকে কর্মরত ছিলেন এবং ২০১৬ সাল থেকে ওই ইলেমেন্টারি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন।
আদালতে এক ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার মেয়ে আর আগের মতো নেই। তৃতীয় শ্রেণির পর থেকে সে পুরোপুরি বদলে গেছে। অন্য এক ঘটনায় গত মাসে বাল্টিমোর কাউন্টির এক হাইস্কুল শিক্ষার্থী ওভারলিয়া হাই স্কুলের এক শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ এনে স্কুল বোর্ডের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ছাত্রী মাইশা তুয়াস-পেরেজ জানান, একদিন ক্লাসে ঢুকতেই তাকে স্প্যানিশ শিক্ষক হুডি ধরে টেনে একের পর এক ঘুষি মারতে শুরু করেন। তার ভাষায়- আমি ঠিক মনে করতে পারছি না কতবার আমাকে ঘুষি মেরেছে। কিন্তু সে থেমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমাকে মারতেই থাকে। তার পরিবার স্কুল বোর্ডের বিরুদ্ধে ৭৫,০০০ ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে। মামলায় বলা হয়েছে, স্কুল নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়নি।