বিশ্বজমিন
রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় হামলা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

রাশিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। যুদ্ধ শুরুর পর এটাই একদিনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় হামলা। অনলাইন আল জাজিরা বলছে, সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। তার আগেই এমন হামলা আলোচনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রোববার রাশিয়ার ৫টি অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে বেশ কিছু যুদ্ধবিমানে আগুন ধরে বড় রকমের ক্ষতি হয়েছে। এই হামলা হয়েছে মুরমানস্ক, ইরকুতস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুর অঞ্চলে। হামলাকে প্রতিহত করেছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। কিন্তু দুটি অঞ্চলে- মুরমানস্ক এবং ইরকুতস্কে হামলা থামাতে পারেনি এই ব্যবস্থা। মন্ত্রণালয় বলেছে, মুরমানস্ক ও ইরকুতস্ক অঞ্চলে এফপিভি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা হয়েছে। এতে কয়েকটি যুদ্ধবিমানে আগুন ধরে যায়। তবে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। হামলায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
ওদিকে রোববার রাতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলাকে নির্ভেজাল ব্রিলিয়ান্ট বলে এর প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, এই হামলায় মস্কোর বড় রকমের ক্ষতি হয়েছে। হামলার পর পরই ভিডিও মারফতে ভাষণ দেন জেলেনস্কি। এ সময় তিনি বলেন, রাশিয়ার ঘাঁটিতে হামলায় ব্যবহার হয়েছে ১১৭টি ড্রোন।
ওদিকে রোববার ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বিমানে হামলা করেছে তারা। এতে সব মিলিয়ে ৭০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। হামলা চালানো হয়েছে ফ্রন্ট লাইনের কয়েক হাজার কিলোমিটার ভিতরে। ইউক্রেন সীমান্ত শেকে প্রায় ৪৩০০ কিলোমিটার দূরে ইরকুতস্কে বেলায়া বিমানঘাঁটিকে টার্গেট করা হয়। সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮০০ কিলোমিটার দূরে মুরমানস্কের ওলিনিয়া বিমানঘাঁটিতেও এই হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের বেশ কিছু স্থানীয় মিডিয়া রোববারই রিপোর্টে বলেছে, রাশিয়ায় এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাদের বোমারু বিমান ধ্বংস করে দেয়া। রাশিয়ার অনেক ভিতরে পাচার প্রক্রিয়ায় ড্রোন পাঠিয়ে তা বিভিন্ন ট্রাকের ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয়।
তারপর সেগুলো ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। মস্কো থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক ডোরসা জাব্বারি বলছেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা এবং স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব ড্রোন বিমানঘাঁটির কাছাকাছি কোনো স্থান থেকে উড়ানো হয়েছে। এর অর্থ হলো এটা ছিল একটি বড় অপারেশন। এর সঙ্গে রাশিয়ার ভিতরে অনেক লোক যুক্ত। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটাই রাশিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের একদিনে সবচেয়ে বড় হামলা।
পাঠকের মতামত
যুদ্ধে অর্থ ও জীবনহানি হয়। দেশ বড় হলেই যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। রাশিয়াকে যুদ্ধে আরও কৌশলী হতে হবে দেশের ক্ষতি কমাতে।