হামাস-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় নতুন বিতর্ক

যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে হামাস ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনায়। শনিবার হামাস জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেনি, বরং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাতার ও মিশরের মাধ্যমে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এই জবাবকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।  এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। হামাস

এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের প্রস্তাবের লক্ষ্য- গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, যুদ্ধের স্থায়ী অবসান, অবাধ ত্রাণ প্রবাহ নিশ্চিত করা। তারা জানায়, যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ১০ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দি মুক্তি দেয়া হবে, ১৮ জনের মৃতদেহ ফেরত দেয়া হবে, বিনিময়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তির দাবি করা হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ এক্সে বলেন- হামাসের এই প্রতিক্রিয়া আমাদের শুধু পিছিয়ে নিয়ে যায়। তিনি হামাসকে আহ্বান জানান, আমরা যে কাঠামোগত প্রস্তাব দিয়েছি, তাকে ভিত্তি ধরে অবিলম্বে আলোচনায় ফিরুন। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাঈম সিএনএন’কে বলেন- আমরা উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিনি। বরং ইসরাইল ওই আলোচ্য খসড়ার সবকিছুতেই দ্বিমত পোষণ করেছে। তিনি আরও বলেন- প্রত্যেকবার ইসরাইলি প্রতিক্রিয়াই যদি চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়, তবে এটি মধ্যস্থতার নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করে। আলোচনায় অংশ নেয়া একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাস তিনটি বিষয়ে পরিবর্তন চেয়েছে- যুদ্ধবিরতির সময় ৬০ দিনের চেয়ে বেশি করতে হবে, ত্রাণ যেন জাতিসংঘের মাধ্যমে বিতরণ করা হয় এবং ইসরাইলি বাহিনীকে ২রা মার্চের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে। এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানান, হামাসের নতুন প্রতিক্রিয়া কার্যত যুদ্ধবিরতির বর্তমান প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের শামিল। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও জানায়Ñ হামাস এখনও তাদের অনড় অবস্থানে রয়েছে। ইসরাইল আমাদের বন্দিদের মুক্তির জন্য এবং হামাসকে পরাজিত করার জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।