বিশ্বজমিন
ট্রাম্পের আকস্মিক পরিবর্তন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১২:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:৪৩ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি টেক বিলিয়নেয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের নাসার প্রধান হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। শনিবার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, পূর্ববর্তী সংযুক্তি বিশ্লেষণের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের সময় জানিয়েছিলেন, তিনি ৪২ বছর বয়সী জ্যারেড আইজ্যাকম্যানকে পরবর্তী নাসা প্রশাসক হিসেবে মনোনীত করছেন। তবে হঠাৎ করেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমি শিগগিরই একজন নতুন প্রার্থী ঘোষণা করব যিনি মিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবেন এবং আমেরিকা ফার্স্ট ইন স্পেস নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, টেসলা প্রধান বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ আইজ্যাকম্যান। তিনি একজন সফল প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তিনি শিফট৪ নামের একটি পেমেন্ট প্রসেসিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ২০২১ সালে তিনি স্পেসএক্স-এর প্রথম বেসরকারি ভ্রমণচারী হিসাবে ইতিহাস সৃষ্টি করেন এবং পরবর্তীতে প্রথম ব্যক্তিগত স্পেসওয়াকে অংশ নেন। আইজ্যাকম্যানের সঙ্গে ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। স্পেসএক্স বর্তমানে নাসার সঙ্গে বহু চুক্তিতে যুক্ত। তবে ইলন মাস্ক নিজেই বর্তমানে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডজ) নামে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সংস্থা থেকে পদত্যাগ করেছেন।
আইজ্যাকম্যানের মনোনয়ন প্রত্যাহারের খবর প্রকাশ হওয়ার পর ইলন মাস্ক এক্সে লিখেছেন, এত দক্ষ এবং হৃদয়বান মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘প্রিয়র এসোসিয়েশন্স’ বলতে তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ই-মেইলের জবাব দেয়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হয়তো ইলন মাস্কের সঙ্গে আইজ্যাকম্যানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বা অন্যান্য ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক জটিলতাই এই সিদ্ধান্তের পেছনে থাকতে পারে। জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের মনোনয়ন সিনেটের কমার্স, সায়েন্স অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন কমিটিতে ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছিল এবং শিগগিরই পূর্ণ সিনেট ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট নিজেই সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিলেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই আকস্মিক সিদ্ধান্ত আবারও প্রমাণ করে যে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও রাজনৈতিক অবস্থান ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে নির্বাচনী বছর ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বার্তা আরও জোরালো করার কৌশল হিসেবে এটি দেখা যেতে পারে।