বিশ্বজমিন
প্রেমিকা ৩০ কোটি রুপি নিয়ে পালালেন অন্য প্রেমিকের সঙ্গে!
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:০২ অপরাহ্ন

এক যুবতীর প্রেমে ডুবে গিয়েছিলেন কানাডার এক প্রেমিক। তার মন পাওয়ার জন্য কী করেননি তিনি! সর্বশেষ তাকে ৩০ কোটি রুপি মূল্যের লটারির অর্থ তার অ্যাকাউন্টে জমা করেন। কিন্তু হায় রে প্রেম! সেই প্রেমময় সম্পর্ক মুহূর্তেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। ওই প্রেমিকা তার প্রেমিক অর্থাৎ ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে নতুন এক পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। সঙ্গে নিয়েছেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা (৫০ লাখ কানাডিয়ান ডলার)! এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
উইনিপেগের বাসিন্দা লরেন্স ক্যাম্পবেল এই ঘটনায় তার সাবেক প্রেমিকা ক্রিস্টাল অ্যান ম্যাককে’র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। তার দাবি, ২০২৪ সালে তিনি নিজেই ওই বিজয়ী লটারি টিকিট কিনেছিলেন। কিন্তু বৈধ আইডি না থাকায় নিজে পুরস্কার দাবি করতে পারেননি। পশ্চিম কানাডার লটারি বিষয়ক কর্পোরেশনের (ডব্লিউসিএলসি) পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্রেমিকা ম্যাককেকে দিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করান।
সিটিভি নিউজ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যাম্পবেল জানান, তারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে ছিলেন এবং একটি বিশ্বস্ত, প্রতিশ্রুতিশীল সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে। তার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায়, লটারির পুরস্কারের অর্থ ম্যাককে’র অ্যাকাউন্টেই জমা দেওয়া হয়। প্রথমদিকে সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। একটি শপার্স ড্রাগ মার্টে গিয়ে তারা ভিডিও রেকর্ড করেন, যেখানে তারা বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এমনকি ম্যাককে ওভারসাইজ চেক হাতে ছবি তোলেন, যদিও ছবিতে তার মুখের অভিব্যক্তি খুশি মনে হচ্ছিল না। প্রকাশ্যে ওই পুরস্কারকে ক্যাম্পবেলের তরফ থেকে জন্মদিনের উপহার বলা হয়।
ক্যাম্পবেল জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই ম্যাককে উধাও হয়ে যান। তারা তখন একটি হোটেল রুমে একসঙ্গে থাকতেন। কিন্তু হঠাৎই তিনি আর ফেরেননি এবং ফোন বা ম্যাসেজেরও কোনো উত্তর দেননি। পরে ক্যাম্পবেল যখন তার সন্ধান পান, তখন তিনি ছিলেন অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে বিছানায়- এমনই অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
তার আইনজীবী জানান, ম্যাককে কৌশলে কোনো যোগাযোগ ছাড়াই একেবারে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তিনি তার ফোন কল, মেসেজের উত্তর দেননি, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্লক করে দেন। ম্যাককের আইনজীবী অবশ্য ক্যাম্পবেলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে মামলাটি এখন চলছে ম্যানিটোবার কোর্ট অব কিং’স বেঞ্চে। এই মামলায় শুধুমাত্র ম্যাককের বিরুদ্ধেই নয়, ক্যাম্পবেল লটারি সংস্থা ও ম্যানিটোবা লিকার অ্যান্ড লটারি কর্পোরেশন-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। তার অভিযোগ, তারা ঝুঁকির বিষয়টি জানায়নি বা উপযুক্ত পরামর্শ দেয়নি। তার আইনজীবীর ভাষায়, এই মামলা শুধু প্রেমঘটিত প্রতারণার নয়, বরং এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা বনাম ভাগ্য- এই দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। এটি এমন এক অবস্থা, যা রাজ্য মালিকানাধীন লটারি কর্পোরেশনগুলোর অবহেলার কারণে তৈরি হয়েছে।
এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে ক্যাম্পবেলের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ কেউ তার বিশ্বাসঘাতী প্রেমিকাকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তবু বিশ্বাসে বড়ই ক্ষতি হতে পারে!