রাজনীতি
নয়াপল্টনে জনসমুদ্র
বিএনপির তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ চলছে
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৮ মে ২০২৫, বুধবার, ৩:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি’র ৩ সংগঠন তারুণ্যের সমাবেশ চলছে। লাখো নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায় ও স্লোগানে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। বুধবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করছেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

ওদিকে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে দেখা গেছে। বেলা সাড়ে ১২ দিকে নেতাকর্মীদের স্লোগান ও পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে নয়াপল্টন।
ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে আসা নেতাকর্মীদের নয়াপল্টনে আসতে দেখা গেছে। এছাড়া এই বিভাগের বাইরে বরিশাল, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা এবং বিভাগ থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসেছেন।
'তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ' স্লোগানে এই কর্মসূচি করছে সংগঠন তিনটি। ওদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীত পাশের সড়কে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনের আশেপাশ এলাকায় টানানো হয়েছে মাইক। সকাল থেকেই মাইকে ভেসে আসে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে গান। ওদিকে সমাবেশ শুরু'র আগে মঞ্চে দেশীয় শিল্পীরা তাদের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন।
নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন, টি শার্ট ও বিভিন্ন রঙের ক্যাপ পরে এবং মাথায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা বেঁধে সমাবেশে এসেছেন। তারা বিভিন্ন স্লোগানে সমাবেশ প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেছেন।
ওদিকে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে নেতাকর্মীদের জমায়েত ফকিরাপুল থেকে কাকরাইল মোড়, পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। নয়াপল্টন এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
তরুণদের কাছে টানতে মে মাস জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি’র এই তিন সংগঠন। চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ করছেন তারা। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা আর বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে।
পাঠকের মতামত
টোকাই দিয়া শোডাউন করা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের রাজনীতি; এইসব এখন দেশের মানুষ খায়না।
আওয়ামী লীগের মত একটি দখলদার দল এখন মাঠে নেই। এই অবস্থায় এতোবড় শো-ডাউন করার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না। এতে প্রচুর অর্থ ও অনেক শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে, রাস্তা বন্ধ করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ বিবেচনা করে দেখবেন। দুনিয়া অনেক বদলে গেছে। সময় সাথে রাজনৈতিক কার্যক্রমেও পরিবর্তন আনতে হবে।
@আব্দুল জব্বারঃ আপনি মনে হয় সংস্কার কি খায় নাকি পরে এই টাইপের লোক হবেন। সংস্ককার কমিশনের প্রধান আলি রিয়াজ স্যারের কথা শুনে থাকলে এই মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতেন। আলি রিয়াজ স্যারের মতে সংস্কারে সবচাইতে বেশি সহযোগিতা করেছে বিএন পি। মিথ্যা এবং প্রপাগান্ডা বলা থেকে বিরত থাকুন।
কোন রাজনৈতিক যুব সংগঠনের শক্তি ও একতা সংহত করতে সমাবেশ ঘটানো জরুরী বিষয়। তবে মূল দলের নেতৃত্বে অসীতিপর বৃদ্ধ ও অক্ষমদের উপর থাকলে মহাবিপর্যয়ের মূখে দলে শৃখলা ফিরিয়ে আনা ও দল টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রস্তাব করছি বিএনপির নীতি নির্ধারনে যুবকদের প্রধান্য থাকা সময়ের দাবি।
সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতা না করে রাস্তাঘাটে এসব শোঅফ করলে জনভোগান্তি সৃষ্টি ছাড়া আর কি লাভ হয় বলুন। পলাতক / নিষিদ্ধ আওয়ামিলীগের সভাসমাবেশ এর চেয়ে কয়েকগুণ বড় হতো কিন্তু প্রকৃত জনসমর্থন না থাকায় দল, সরকার, জোট, ব্যবসায়ী, কর্মীসমর্থক সবাই একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই বলি জনসমর্থন বৃদ্ধি করেন, জনভোগান্তি নয়।