রাজনীতি
জামায়াত আমির
আমাদের আচরণে কষ্ট পেলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ২:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের কোনো আচরণে কষ্ট পেয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। দলটির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেয়ার পর মঙ্গলবার জামায়াত আমির সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীর কাছে এ আহ্বান জানান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কোনো আচরণে, কোনো পারফরমেন্সে কষ্ট পেয়ে থাকলে আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। মানুষ আমরা, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে না। দল হিসেবে আমরা দাবি করি না যে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। এই সংগঠনের প্রতিটি কর্মী, সহকর্মী কিংবা দলের দ্বারা যে যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন, নিঃশর্ত ক্ষমা করে দেবেন।’
তিনি বলেন, 'বিপদ ঘাড়ে নিয়েও আমরা চেষ্টা করেছি দেশবাসীর বিপদে পাশে থাকার। এমনকি ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নেওয়ার পরেও আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের শহীদ পরিবার, আহত পঙ্গু ভাই-বোনদের পাশে থাকার। কিন্তু আমরা এটা বিশ্বাস করি যে, আমাদের পুরো কর্তব্য আদায় করতে পারিনি অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে।'
তিনি আরও বলেন, 'দেশবাসীর সমর্থন ও সহযোগিতায় যদি এই দেশের সেবা করার দায়িত্ব আমাদের ওপরে আসে, আমরা প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান ঘটাবো, বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাবো ইনশাআল্লাহ।'
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন আমলে 'পাতানো আদালত ও মিথ্যা সাক্ষীর মাধ্যমে' দলটির ১১ জন দায়িত্বশীল ব্যক্তির ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ হয়েছে।’’ সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিষয়টি তার লেখা বইয়ে অপরাধ স্বীকার করে তুলে ধরেছেন বলেও উল্লেখ করেন জামায়াত আমির।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘এই বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের দলের নেতাদের নির্যাতন করতে ‘সেফ হোম’ এবং মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য লোকদেরকে রাখতে ‘সেফ হাউস’ বানানো হয়েছিল।’’
এই সম্পূর্ণ বিচার প্রক্রিয়াকে তিনি ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’ বলে উল্লেখ করেছেন।
পাঠকের মতামত
ক্ষমা নামকা ওয়াস্তে নয় ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন মনে করলে কারণ উল্লেখ করে চাওয়ার মতো চান। চাওয়ার মতো চাইলে আল্লাহর কাছেও ক্ষমা পাওয়া যায়। যে বিচারের কাঠগড়ায় সবাইকেই দাঁড়াতে হবে কর্মের সাক্ষী হাত পা দিবে সেদিনর কথা না ভুলি।
এমন ভাবে বলুন মানুষ যেন বুঝতে পারে কি অপরাধ করেছেন ।এভাবে বললে স্পষ্ট হলোনা কার জন্য ক্ষমা
১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনাদের ভুমিকার জন্য ক্ষমা চাইলে আপনাদের জন্য ভাল ।
আপনাদের কোন আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেন তা পরিষ্কার করলেন না স্যার
ক্ষমা চেয়েছেন ভাল কথা কিন্তু কি অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তা বলেননি। ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনাদের ভুমিকার জন্য ক্ষমা চাইলে আপনাদের জন্য ভাল ।
এই হলো এক জন পারফেক্ট নেতার বক্তব্য। আমরা আছি আপনার সাথে।
" দেশ সেবার দায়িত্ব পেলে আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ঘটাবো এবং বৈষম্যের রাজনীতির অবসান ঘটাবো, ইনশাআল্লাহ" নেতার কাজ হল জাতিকে স্বপ্ন দেখানো, গো এহিড, একদিন জাতি মূল্যায়ন করবে।