রাজনীতি
গণতন্ত্র ফিরতে দেরি হলে সংকট আরও বাড়বে: খসরু
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২৬ মে ২০২৫, সোমবার, ৭:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

গণতন্ত্র ফিরতে দেরি হলে দেশে সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার সেগুনবাগিচায় পেশাদার সাংবাদিকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্লোগান: ঐক্য-সমৃদ্ধি। সকালে ডিআরইউ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইনসাফ বারাকাহ কিডনী এন্ড জেনারেল হাসপাতালের সৌজন্যে দিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
আমির খসরু বলেন, আগামী দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তনের জন্য। আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটা যত বিলম্বিত হবে, যত দেরি হবে তত বেশি আমাদের দেশে সংকট বাড়তে থাকবে। এজন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য, ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক অর্ডার যত তাড়াতাড়ি ফিরে পেতে পারি সকলের প্রচেষ্টায়, মিডিয়ার সহযোগিদতায় বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সেই জায়গায় যত তাড়াতাড়ি আমরা যেতে পারি ততবেশি আমাদের জন্য লাভের হবে।
তিনি বলেন, দেশে যতক্ষণ গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তন না হবে মিডিয়ার তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে পারবে না। গণতন্ত্র ও মিডিয়া হাতে হাত মিলিয়ে চলবে। গণতন্ত্রের যতদিন অনুপস্থিতি থাকবে, গণতান্ত্রিক অর্ডারের যত বেশি অনুপস্থিতি থাকবে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতি যত বাড়তে থাকবে আপনি দেখবেন মিডিয়ার ওপর চাপ বাড়তে থাকবে। অগণতান্ত্রিকভাবে যেই ক্ষমতায় থাকুক কেনো, তারা থাকার জন্য, ক্ষমতা অব্যাহত রাখার জন্য বিভিন্ন চাপের মধ্যে মিডিয়াকেও তারা চাপের রাখতে চায়, আমাদের স্বীকার করতে হবে।
খসরু বলেন, মিডিয়ার কাজ হচ্ছে জবাবদিহিতার আওতায় আনা। যেভাবে নির্বাচিত সংসদে জবাবদিহিতা হয়, মিডিয়াও কিন্তু আরেকটা অংশ। তারাও কিন্তু জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে মানুষের কাছে। সুতরাং আগামী দিনে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তনের জন্য। আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটা যত বিলম্বিত হবে, যত দীর্ঘায়িত হবে তত বেশি আমাদের সংকট বাড়তে থাকবে। এজন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য, ঐক্যবদ্ধভাবে গণতান্ত্রিক অর্ডার যত তাড়াতাড়ি ফিরে পেতে পারি সকলের প্রচেষ্টায় মিডিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সেই জায়গায় যত তাড়াতাড়ি আমরা যেতে পারি ততবেশি আমাদের জন্য লাভের হবে।
তিনি বলেন, মিডিয়াকে কাজ করতে দিতে হবে। তাদের কাজে বাধা দেয়া চলবে না। সুতরাং আমরা হাতে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র অক্ষুন্ন রাখলে আমাদের দেশে যে সমৃদ্ধির কথা বলছি, সেটা সম্ভব হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, আমরা নির্বাচন চাই একই সঙ্গে সংস্কার ও জরুরি। রাষ্ট্রীয় সরকারের সংস্কার সঠিকভাবে না হওয়ার কারণে ফ্যাসিবাদের জন্ম নিয়েছে। সুতরাং ফ্যাসিবাদ যাতে করে আর কখনো ফিরে না আসতে পারে সেজন্য সংস্কার সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এতে মিডিয়াসহ সকল সেক্টরে স্বাধীনতা বজায় থাকবে।
ডিআরইউ’র সভাপতি সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
ঠিক বলেছেন। চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা যথাশীঘ্র সম্ভব রাষ্ট্রীয় কর্মযজ্ঞে জড়িত হতে চায় বিধায় রাস্তাঘাট বন্ধ করে সংকট তৈরি করছে। এসব থেকে দূরে থাকুন।
ইউনুস সাহেব বেশী দিন থাকলে উনার ম্যাজিকে জনগন রাজনীতিবীদের বাদ দিয়ে উনাকেই আজীবনের জন্য চাইবে, এই ভয় থেকে এত তাড়াহুড়ো!!! উনার বিরোধিতা কারো জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে মনে হয় না!! ৫২ বছরতো নির্বাচন হয়েছে!! আবার ১৭/১৮ বছর সঠিক নির্বাচন হয়নি!!! দেশের, দেশের সাধারন মানুষের কি লাভ হয়েছে???
পরিকল্পিত ভাবে স্বার্থান্বেষী মহল দেশে সংকট সৃষ্টি করছে।
এরা খমতায় গেলে আ,মিলিগ.41 কাজ বি এম পি করবে.
সরকারকে বিতর্কীত না করে আস্থায় নিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। ডঃ ইউনুস সাহেবকে বিতর্কমুক্ত রাখুন, তাকে সর্বাত্মক সহায়তা করুণ। তাঁকে বিতর্কীত করলে দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
Who are playing behind the game, peoples known.