অনলাইন
কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার
ইসাহাক আলী, নাটোর থেকে
(১ মাস আগে) ১৪ আগস্ট ২০২২, রবিবার, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩৯ অপরাহ্ন
নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া সেই শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার ভোররাতে নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়াবাসার চারতলায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে মামুন দাবি করেন। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হতে ভবনের অন্য বাসিন্দারা স্বামী মামুনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। মামুন-নাহার দম্পতি নাটোর শহরের বলারীপাড়ার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলায় ভাড়া থাকতেন।
ওই ভবনের সিকিউরিটি গার্ড নিজাম উদ্দিন জানান, মামুন ও নাহার গত রাত ১১টার দিকে বাইরে থেকে বাসায় প্রবেশ করেন। পরে রাত দুইটার দিকে মামুন গেটে নক করে একটু প্রয়োজনের কথা বলে বাইরে চলে যান। রাতে তিনি আর বাসায় ফেরেননি। আজ ভোর ৬টার দিকে মামুন বাসায় প্রবেশ করেন। এর কয়েক মিনিট পরেই তিনি নাইট গার্ডকে ডাকতে নিচে আসেন। পরে নাইট গার্ড গিয়ে নাহারের দেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। এসময় মামুন ফ্যান থেকে নাহারের মরদেহ নিচে নামায়।
আটককৃত স্বামী মামুন
ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানান, মামুন অন্যদের জানান- স্ত্রী খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার শেষ রাতে আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের লাশ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা মামুন বাসার মধ্যে আটকে পুলিশে খবর দেন। সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো.খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামেরর মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে ছয় মাসের প্রেমের পর স্বামী পরিত্যক্তা এক ছেলের জননী খায়রুন নাহার গত বছরের ১২ই ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, বিষয়টি তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনার পর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পিবিআই এর জেলা পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিনসহ পুলিশ ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পাঠকের মতামত
এদেশের সমাজ কাঠামো এখনো মূর্খতা নির্ভর। রাষ্ট্রের উচিৎ ছিল এই ভদ্র মহিলাকে যথাযত নিরাপত্তা দেওয়া। বাঁচার আকুতি দেখেছি ওনার কথায়। কিন্তু সমাজ ওনাকে বাঁচতে ছিলনা। ওনার আত্মীয়, প্রতিবেশী, বাজে মিডিয়া, ধর্মীয় মোল্লা যারা ওনাকে নিয়ে মনগড়া মন্তব্য করেছিলেন তাদের কাছে প্রশ্ন - "আপনাদের বিবেক এখন কি বলে?" কেন ওনার জীবন অতীষ্ঠ করলেন? আপনাদের মতামত চাই।
Now Happy???????????? I think so that all Troll party is now Happy.
শুধুমাত্র ট্রল এর কারনে যদি এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে থাকে তো এর দায় যারা ট্রল করেছেন তাদেরই। কিন্তু চিন্তা করে দেখেন আমরা কিভাবে একটা 'হালাল' সম্পর্ক কে 'হারাম' বানিয়ে তুললাম।
মিডিয়ার মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কারনেই সম্ভবতঃ এই আত্মহনন।আমরা খুবি হীনমন্য জাতি।
এটা আত্বহত্যা বলে মনে হয়না। আসল রহস্য মামুনের মূখ দিয়েই বের হবে। রাত দুইটায় ঘর থেকে মামনের বরর হয়ে আর না আসা, সকালে এসে স্ত্রীর আত্বহত্যার খবর প্রচার করা। এসব কিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছেনা।
মনে হয়, ইউটিউব মিডিয়া সাফল্য । হায়রে সব সম্ভবের দেশ !
ভাইরাল ট্রায়ালে মৃত্যু। মিডিয়াগুলোরও দায় আছে বলে মনে হয়। এই বিয়ে নিয়ে খবর প্রচারের কোনও প্রয়োজন ছিল কি? মিডিয়াও দুজন মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে। কিছু টিভিচ্যানেল সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রচার করেছে। কেন ?
Some news shouldn't be viral, it was odd but a valid marriage.
এত তাড়াতাড়ি দাম্পত্য জীবন শেষ হল ? বেচারী ঘর সংসার করতে চেয়েছিলেন। নাহ ! দেশের মানুষ হিংস্র পশুর মত আচরণ করছে ।
এটা কেমন খবর হল? এ সমাজটা আসলেই ভাবনার চেয়েও অনেক বেশী অন্ধকার!
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
