খেলা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ
নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ মে ২০২৫, শনিবার
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে গতকাল তিনটি গোলই হলো ম্যাচের শেষ দিকে। প্রথমে ডেডলক ভাঙেন আশিকুর রহমান। কিছুক্ষণ পর আরও একবার জালে বল জড়ান অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। নেপাল এক গোল শোধ দিলেও তা শুধু ব্যবধানই কমায়। ২-১ গোলের জয়ে ফাইনাল পৌঁছেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
ভারতের অরুণাচলের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে গতকাল ম্যাচে সুযোগ তৈরির দিক থেকে এগিয়ে ছিল নেপাল। শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। সপ্তদশ মিনিটে নেপালের দারুণ একটি সুযোগ রুখে দেন গোলকিপার ইসমাইল হোসেন মাহিন। কয়েক মিনিট পর প্রতিপক্ষ দলের সাবিন কুমারের শট প্রতিহত হয় রক্ষণে। ২৩তম মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মতো দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে যুবা টাইগাররা। ফয়সালের থ্রু পাস ধরে রিফাতের বাঁ পায়ের শট কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন নেপাল গোলকিপার ভক্ত বাহাদুর। ৩০তম মিনিটে নেপালের দুর্দান্ত একটি প্রচেষ্টা ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। মিনিট চারেক পর মুর্শেদের বক্সের ওপরের একটি ফ্রি কিক বেরিয়ে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। ৩৬তম মিনিটে আক্রমণে ওঠা ফয়সালের কাছের পোস্টে নেয়া শট রুখে দেন বাহাদুর। আক্রমন-প্রতি আক্রমণে গোলশূন্য বিরতিতে যায় দু’দল। মাঠে ফিরে ৫৫তম মিনিটে বাংলাদেশের দারুণ একটি আক্রমণ গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন নেপালের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মদন পাউডেল। পাঁচ মিনিট পর মাঝমাঠের কিছুটা ওপর থেকে উড়ে আসা শট ফিরিয়ে দিলেও গ্লাভসে জমাতে ব্যর্থ হন টাইগার গোলকিপার মাহিন। তবে সামনে থাকা সুজন ডাঙ্গোল বলের নাগাল পাওয়ার আগেই দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ে আঙুলের টোকায় জাল বাঁচান তিনি। নেপালের আক্রমণভাগের চাপ সামলে উঠে ৭৩তম মিনিটে জাল খুঁজে নেয় যুবা টাইগাররা। দলের এক থ্রো প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে বল মাঠের বাইরে চলে গেলে কর্নার পায় বাংলাদেশ। উঁচু শটে গোলপোস্টের একদম কাছেই আশিকুর রহমানকে খুঁজে নেন ফয়সাল। মাথার আলতো টোকায় বল জালে ঢুকান আশিকুর। এর মিনিট সাতেকের মধ্যে নিখুঁত শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক ফয়সাল। তবে চাইলে গোলটি নিজের নামেই লিখতে পারতেন মানিক। নেপালের আক্রমণ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে প্রতি আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের দূরের পাসে বল পেয়ে যান মানিক। নেপালের রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে বক্সের ভেতর বল পেয়ে যান তিনি।
গোলকিপারকে একা পেয়ে চাইলে নিজেই গোলের দিকে শট নিতে পারতেন। তবে আরও নিশ্চিত হতে নিজে শট না নিয়ে অরক্ষিত থাকা ফয়সালকে বল বাড়ান মানিক। গোলকিপার বাহাদুরের শরীরের নিচে ও দুই ডিফেন্ডারের সামনে দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন টাইগার অধিনায়ক। মিনিট দুয়েক পর আরও একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। নেপালের এক ভুল পাসে তাদের অর্ধেই বল পেয়ে যান ফয়সাল। তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে তার রক্ষণচেরা পাস খুঁজে নেয় মানিককে। তবে তিনজনের মাঝ দিয়ে শটই চালাতে পারেননি তিনি, বল চলে যায় গোলকিপারের হাতে। ৮৭তম মিনিটে সুজনের গোলে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় নেপাল। ম্যাচের যোগ করা দ্বিতীয় মিনিটে নেপালের চরম এক ভুল পাসে বক্সের কাছেই বল পেয়ে যান ফয়সাল। তবে দুই ডিফেন্ডারকে কাঁটিয়ে বল বের করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত হয় লাল সবুজের প্রতিনিধি দলের। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যকার জয়ী দল আগামী রোববার ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।