খেলা
আনচেলোত্তিকে কোচ করার পরের দিনই পদ হারালেন সিবিএফ সভাপতি!
স্পোর্টস ডেস্ক
১৭ মে ২০২৫, শনিবার
ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) এর পরিচালনা পর্ষদের সবাইকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে সভাপতি এডনাল্ডো রদ্রিগেজও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরোর একটি আদালত এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। আদালত এমন সময়ে এই সিদ্ধান্ত দিলেন যখন একদিন আগেই ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলোত্তিকে ব্রাজিলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন রদ্রিগেজ। এ নিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট তার খোলামেলা সমালোচনাও করেন।
আদালতের বিচারক গ্যাব্রিয়েল ডি অলিভেরা বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত এবং পূর্বে উচ্চ আদালত কর্তৃক অনুমোদিত চুক্তিটি বাতিল ও অকার্যকর। কারণ আন্তোনিও কার্লোস নুনেস দে লিমার মানসিক অক্ষমতা এবং তার সইয়ে সম্ভাব্য জালিয়াতি রয়েছে। এর ফলে যৌক্তিক পরিণতি হচ্ছে বর্তমান সিবিএফ প্রশাসনের বৈধতা স্বীকার না করা। সংগঠনটি নেতৃত্বশূন্য থাকতে পারে না এবং আইনের অধীনে বৈধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এখন অত্যাবশ্যক।’
এ আইনি মামলার মূল বিষয় হলো একটি সন্দেহজনক জালিয়াতি। অভিযোগ উঠেছে যে, ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সাবেক সভাপতি আন্তোনিও কার্লোসের স্বাক্ষর জাল করে একটি চুক্তি করা হয়। এ চুক্তিটি বর্তমান সভাপতি রদ্রিগেজের সঙ্গে সম্পাদিত হয়েছিল। এই জাল চুক্তির মাধ্যমেই বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ (বোর্ড অফ ডিরেক্টরস) সিবিএফের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
এ মামলায় বিচারক তার দেয়া আইনি সিদ্ধান্তে সিবিএফের সহসভাপতি ফার্নান্দো জোসে সারনিকেও একটি বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দায়িত্বটি হলো সারনিকে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করবেন এবং যত দ্রুত সম্ভব ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নতুন কর্মকর্তা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। সেক্ষেত্রে বর্তমানে যারা অপসারিত হয়েছেন, তাদের জায়গায় নতুন নেতৃত্ব আনার প্রক্রিয়া শুরু করার দায়িত্ব এখন ফার্নান্দো জোসে সারনিয়ের উপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
রদ্রিগেজ এর আগেও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রিও ডি জেনিরোর কোর্ট অব জাস্টিসের এক রায়ের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হয়েছিলেন। তখন সিবিএফের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ঘিরে বিরোধের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছিল। তবে এক মাস পরই ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক গিলমার মেন্ডেস তাকে পদে পুনর্বহাল করেন। যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, রদ্রিগেজ না থাকলে ব্রাজিল জাতীয় দলকে ফিফা নিষিদ্ধ করতে পারে।