অলিম্পিকসের ক্রিকেট বাছাইয়ে ‘ন্যায্য ও স্বচ্ছ’ প্রক্রিয়া অনুসরণের দাবি ওয়েস্ট ইন্ডিজের

১২৮ বছর পর আসন্ন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকসে ফিরছে ক্রিকেট। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া উৎসবে ছেলে ও মেয়েদের ছয়টি করে দল অংশগ্রহণ করবে। তবে সেই দলগুলোর বাছাই প্রক্রিয়া এখনও জানানো হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) বলছে, সেসব চূড়ান্ত হতে পারে এবছরই। তবে এই ঐতিহাসিক আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অংশগ্রহণ করা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। এসব বুঝতে পেরেই আইসিসি’র কাছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউই) অনুরোধ করেছে, অলিম্পিকস বাছাই প্রক্রিয়ায় যেন ন্যায্য ও স্বচ্ছ পথ অবলম্বন করা হয়।

২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকসে স্বাগতিক হিসেবে অংশ্রগ্রহণ করবে আমেরিকা। বাকি পাঁচটি দল নির্ধারিত হবে আইসিসি র‌্যাঙ্কিং ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফর্মেন্সের ওপর ভিত্তি করে। আসন্ন ২০২৮ অলিম্পিকসে ক্রিকেটকে সংযুক্ত করার জন্য আইসিসি যখন জোর চেষ্টা চালায়, তখন সংস্থাটি একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে। সেখানে তারা জানায়, একটি নির্দিষ্ট তারিখে (কাট-অফ ডেট) টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ছয়টি দল এই আসরে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। শেষ পর্যন্ত এই র‌্যাঙ্কিংয়েই বাছাইয়ের নিষ্পত্তি হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অসুবিধা হবে না। কেননা, ছেলেদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে ক্যারিবিয়ানদের অবস্থান পঞ্চম, মেয়েদের ষষ্ঠ। তবে বিপত্তিটা অন্য জায়গায়। সেটি হচ্ছে অলিম্পিকসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আলাদাভাবে জায়গা করে নেয়ার সুযোগই নেই। কেননা, এটি কোনো দেশ নয়। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলি ক্রিকেটে একত্রে খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামে। এদিকে অলিম্পিকসে খেলার যোগ্যতা শুধুমাত্র সার্বভৌম দেশই অর্জন করতে পারে। ক্যারিবিয়ান দেশগুলো নিজেদের নামেই এতদিন ধরে অলিম্পিকসে অংশ নিয়ে আসছে। তাহলে ক্রিকেটে এই বিপত্তির সমাধান কী? অলিম্পিকস সনদের কথা তুলে ধরে একটি বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সিডব্লিউই-এর সভাপতি ড. কিশোর শ্যালো। বিবৃতিটিতে তিনি লেখেন, ‘ক্যারিবিয়ান অঞ্চল অলিম্পিকসে সর্বদাই নিজেদেরকে ছাড়িয়ে গেছে এবং আমাদের ক্রীড়া উৎকর্ষ দিয়ে গোটা বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে। ২০২৮ গেমসে ক্রিকেট যখন ফিরবে, তখন আমাদের যেন বঞ্চিত করা না হয়।’ ড. কিশোর যোগ করেন, ‘অলিম্পিকস সনদে ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও সার্বজনীনতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে অবশ্যই একটি পথ করে দিতে হবে। অংশ নেয়ার পুরোপুরি সুযোগ আমাদের প্রাপ্য।’
এর আগে অলিম্পিকসের ইতিহাসে একবারই দেখা যায় ক্রিকেটকে। গত শতকে ১৯০০ প্যারিস অলিম্পিকসে সেবার মাত্র তিনটি দেশ অংশগ্রহণ করে এই খেলায়। দুই দিনের সেই ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১৫৮ রানের জয়ে সোনা জেতে গ্রেট বৃটেন।