দেশ বিদেশ
সংখ্যানুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ চায় নাগরিক ঐক্য
স্টাফ রিপোর্টার
৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবাররাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের সুপারিশে একমত হয়েছে নাগরিক ঐক্য। দলের পক্ষ থেকে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার বলেন, নিম্নকক্ষে বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় নাগরিক ঐক্য। নিম্নকক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে নানান ধরনের ঝামেলা হয়। তবে উচ্চকক্ষে অবশ্যই সংখ্যানুপাতিক হারে করতে হবে। উচ্চকক্ষে ১০৫টি আসনের মধ্যে পাঁচ আসন রাষ্ট্রপতি পূরণ করবেন বলে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, এর পক্ষে নয় নাগরিক ঐক্য। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে তাদের প্রস্তাবনা ছিল উচ্চকক্ষের ১০০ জনের মধ্যে ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটি থেকে এবং বাকি ৫০ শতাংশ রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আসবে। আমরা এখানে একমত হতে পারিনি। আমরা বলেছি, এখানে আলাদা করে ৫০ শতাংশ সিভিল সোসাইটির জন্য করলে দেশ একটা শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি হারাবে। তখন সিভিল সোসাইটি ভাববে, আলাদা করে একটা রাজনৈতিক দলে থাকতে পারলে নির্বাচনের পর উচ্চকক্ষে যাওয়া যাবে। কারণ মনোনয়নটাও শেষে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেই আসবে। এ কারণে আমরা চাই দেশে একটা শক্তিশালী সিভিল সোসাইটি কাজ করবে- সেটা চাই। যার জন্য সিভিল সোসাইটির মনোনয়ন রাজনৈতিক দল দেবে, এ বিষয়ে একমত হতে পারিনি। গতকাল জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে নাগরিক ঐক্যের বর্ধিত বৈঠক শেষে এসব কথা জানানো হয়। তবে, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশমালা মেনে নিয়ে সর্বোচ্চ ছাড় দেবে নাগরিক ঐক্য। ইতিমধ্যে ১১৮টি বিষয়ে একমত হয়েছে দলটি। এ বিষয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলের জায়গা থেকে যতগুলো বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত হওয়া যায়, আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা আগেরবারও আলোচনার পর বেশ কিছু জায়গায় ছাড় দিয়েছি। তখন আমরা ১১৪টি বিষয়ে একমত ছিলাম, এবার আমরা বসার আগেই ১১৮টি বিষয়ে একমত হয়েছি। এবারো আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সেগুলো আমাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সর্বোচ্চ যতগুলো জায়গায় ছাড় দেয়া যায়, ছাড় দিয়ে যতগুলো বিষয়ে আমরা হতে পারি, সে চেষ্টা করে যাবো। তিনি বলেন, আমরা এর আগেও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসেছিলাম। তখন আমাদের সংবিধান সংস্কার ও দুদক নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তখন দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে একমত ছিলাম না। এখন আমরা ঐকমত্য কমিশনের যুক্তি বিবোচনা করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের বিপক্ষে নই, এটি সংস্কারের কথাও বলেছি।
এ সময় দলের পক্ষ থেকে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আলোচনা করেছি। গত আলোচনার পর আমরা ১১৪টি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছি। আজকের আলোচনার পূর্বেই ১১৮টি বিষয়ে একমত পোষণ করেছি। ৩৮টি বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও আজকের আলোচনার মধ্যদিয়ে আমাদের মতপার্থক্য অনেকটাই নিরসন হয়েছে।