দেশ বিদেশ
মৌলিক সংস্কার করেই নির্বাচন: ইসলামী আন্দোলন
স্টাফ রিপোর্টার
৭ মে ২০২৫, বুধবারকেবলমাত্র নির্বাচনের জন্য সংস্কার নয়, বরং প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করেই নির্বাচনে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলটির বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে দলের পক্ষে এ কথা জানান- ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিকে যেতে হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কারগুলো করতেই হবে। মৌলিক সংস্কারগুলো করেই জাতীয় নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। আমরা দেখলাম, নির্বাচন কমিশন থেকে বারবার বলছে, তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তারা কিসের আলোকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত? যেহেতু সংস্কারের কার্যক্রম এখনও চলছে, তাহলে তারা কোন নীতি, কোন পদ্ধতির আলোকে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে, সেটা আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য- প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কারের পর নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই মনে করেন- ন্যূনতম কিছু সংস্কার হলেই নির্বাচন। না, কেবল নির্বাচনের জন্য এত প্রাণ বিসর্জন দেয়া হয়নি। শুধু নির্বাচন হলেই মৌলিক পরিবর্তন হয়ে যাবে, দেশ পরিবর্তন হয়ে যাবে- এটা আমরা বিশ্বাস করি না। কারণ অতীতে খারাপ নির্বাচন যেমন হয়েছে, কিছু ভালো নির্বাচনও হয়েছে। ভালো নির্বাচনের পরও আমরা ভালো দেশ পাইনি, আমরা সুশাসন পাইনি। আমরা দেখেছি নির্বাচিত সরকারও স্বৈরাচারের ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়েছে। অবিচার হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সুতরাং নির্বাচনের জন্য কিছু সংস্কার সম্পন্ন করেই নির্বাচনের দিকে যাক- তা আমরা চাই না। আমরা প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার চাই।
গাজী আতাউর রহমান বলেন, ৫৪ বছরে যে রাষ্ট্র ছিল তা আমরা দেখতে চাই না। নতুন রাষ্ট্র এবং যেজন্য সন্তানরা, ছাত্র-যুবকরা রক্ত দিয়েছে, সেটা বাস্তবায়নের জন্য যা করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাই করতে হবে। কারণ আমরা অতীতে দেখেছি, রাজনৈতিক সরকারগুলো আমাদের হতাশ করেছে। অতীতে অনেকবার অনেক সরকার পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু কেউই জনগণের কল্যাণে সেভাবে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করেনি।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনাকে সামনে রেখে লিখিতভাবে আমাদের একমতের জায়গাগুলো জানিয়েছি। দ্বিমতের জায়গাগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি এবং প্রয়োজনীয় নতুন প্রস্তাবনাও দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আপনারা সমাজের স্টেকহোল্ডার থেকে শুরু করে সিভিল সোসাইটিসহ সকলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমাদের পরবর্তীতে আনার সুযোগ দিতে হবে। কিছু বিষয় আমাদের ভাবতে হচ্ছে। নতুন ভাবে বিষয়গুলো মানুষের সামনে এলে মানুষ সেসব নিয়ে কি ভাবছে সেটিও দেখতে হবে। বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।