দেশ বিদেশ
ইসিতে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি ১৩ই মে
স্টাফ রিপোর্টার
৭ মে ২০২৫, বুধবাররাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ১৩ই মে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে আপিলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য আবেদন করে আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন না থাকা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। আগেও এর শুনানি হয়েছে, কিন্তু শেষ হচ্ছে না। এদিন আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন মামলা দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানান। এ সময় আপিলটি কোন সালে করা হয়েছে প্রধান বিচারপতি তা জানতে চাইলে শিশির মনির জানান, আপিলটি করা হয় ২০১৩ সালে। একপর্যায়ে ১৩ই মে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১লা আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালত এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন। তবে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর পরই তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে জামায়াত, যা ২০১৩ সালের ৫ই আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে ২০১৮ সালের ৭ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। এরপর জামায়াত হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করলে আপিল বিভাগ গত বছরের ৩রা ডিসেম্বর আপিলের শুনানি শুরু করে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়ায় সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করা হয় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে। তাতে সম্মতি দিয়ে গত বছরের ২৪শে আগস্ট আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। তাতে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর আইনি লড়াইয়ের পথ খোলে।
সে আবেদনের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আপিল বিভাগে পেন্ডিং মামলাটি পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয়ে নিষ্পত্তি হয় নাই। ‘ডিসমিসড ফর ডিফল্ট’ হয়। সেজন্য আমরা মামলাটি পুনরুজ্জীবনের আবেদন করি। সে পুনরুজ্জীবনের (রেস্টর) আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর মেরিট অনুযায়ী আবার আপিল শুনানি শুরু হয়।