অনলাইন
সহযোগীদের খবর
আনুপাতিক পদ্ধতি ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইস্যু: বিপক্ষে বিএনপি, পক্ষে জামায়াত
অনলাইন ডেস্ক
(৬ ঘন্টা আগে) ২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘আনুপাতিক পদ্ধতি ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ইস্যু: বিপক্ষে বিএনপি, পক্ষে জামায়াত’। খবরে বলা হয়, সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা ও সংস্কারের পরিধি নিয়ে চলমান বিতর্কের পাশাপাশি দ্বিমত-ভিন্নমত দেখা দিয়েছে সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং আগে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন করা না করা নিয়েও। শুরু থেকেই বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। আর জামায়াতে ইসলামী বাইরে হরেক কথা বললেও আনুষ্ঠানিক সংলাপে বরাবরই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশন ৩০০ আসন বিশিষ্ট নিম্নকক্ষ (আইনসভা) ও সেখানে আরো ১০০টি সংরক্ষিত আসন (নারীদের জন্য) এবং ১০০ আসন বিশিষ্ট উচ্চ কক্ষ সংসদের সুপারিশ করেছে। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াত উভয়ই একমত। তবে, নিম্ন কক্ষের নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই করার পক্ষে বিএনপি। অন্যদিকে, সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচনই পিআর পদ্ধতিতে চায় জামায়াত।
সর্বশেষ, শনিবার সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায়ও পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত। এমনকি, সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার প্রস্তাব দিয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—এজন্য প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তিন দফায় আলোচনায় আগে সংসদ নির্বাচনের পক্ষে দলীয় অবস্থানের কথা জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে নিম্ন কক্ষের নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই করার পক্ষে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করেছে দলটি।
সংবিধান সংস্কার কমিশন দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের সুপারিশ করলেও নিম্নকক্ষের নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই করার পক্ষে মত দিয়েছে, আর উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আনুপাতিক পদ্ধতিতে করার সুপারিশ করেছে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি এর সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। তবে, জামায়াত সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচনই আনুপাতিক পদ্ধতিতে করার প্রস্তাব দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন হলো আসনভিত্তিক কোনো প্রার্থী থাকবে না। ভোটাররা দলীয় প্রতীকে ভোট দেবেন। একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সে অনুপাতে সংসদের (নিম্ন কক্ষ) আসন বণ্টন হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ইত্তেফাককে বলেন, যারা জনগণের প্রত্যক্ষ রায়কে ভয় পাচ্ছেন তারাই আনুপাতিক পদ্ধতির কথা বলছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি বিদ্যমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন হতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকেও আমরা একই কথা বলেছি। আমরা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছি।
সেক্ষেত্রে নিম্ন কক্ষের নির্বাচন বিদ্যমান ব্যবস্থায় করার কথা বলেছি। আর উচ্চ কক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে পরবর্তী সময়ে আরো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ১৫ বছর সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তারা সংসদ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। কাজেই, সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তাব অবান্তর ও জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীত।
আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন ও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না বিএনপির মিত্র রাজনৈতিক দল-জোটগুলোও। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এলডিপিসহ মিত্র দল-জোটগুলো বিএনপির অবস্থান বা প্রস্তাবের সঙ্গেই সহমত পোষণ করেছে। অন্যদিকে, এই দুটি ইস্যুতে চরমোনাই পিরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থানের মিল রয়েছে জামায়াতের সঙ্গে। এই দলগুলোও আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং সংসদের আগে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন দাবি করছে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার আলোচনায় জামায়াতের পক্ষ থেকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা শুরু থেকেই যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, সেখানে আমরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের কথা বলেছি। বাংলাদেশের নির্বাচনে যে দুর্নীতি ও জবরদখল হচ্ছে এবং ভোটবিহীন নির্বাচনের যে ফলাফল হচ্ছে; পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। টাকার খেলাও বন্ধ হবে।’ পিআর পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জামায়াতের এই নেতা এ-ও বলেন, পৃথিবীর ৬০টির বেশি দেশে এই পদ্ধতি চর্চা হচ্ছে। আগের দিন এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানও আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানান।
চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে গত বুধবার বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছে গণঅধিকার পরিষদও। বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে। আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের বিষয়েও আমরা একমত হয়েছি।
ঐ বৈঠক শেষে ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ অনেক আগে থেকেই একমত। গত আট মাসে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় সেবা পেতে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সেজন্য স্থানীয় নির্বাচন কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তবে, এ ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন নুর।
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘পুরোনো যান সরানোর উদ্যোগে এবারও সাড়া নেই মালিকদের’। খবরে বলা হয়, সড়ক থেকে পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরিয়ে নিতে ছয় মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল সরকার। নতুন যানবাহন কেনার জন্য মালিকদের ঋণ পেতে সহায়তার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা শেষ হবে মে মাসে। তবে মালিকদের কোনো গরজ দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, ঢাকাসহ সারা দেশে চলাচলকারী ৭৫ হাজারের বেশি বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংকলরির আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরোনো এসব যানবাহন দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে এবং পরিবেশ দূষণ করছে।
পুরোনো যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও নেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মালিকেরা। এবারও তাঁরা সাড়া দিচ্ছেন না। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, মে মাসের মধ্যে পুরোনো গাড়ি উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। নির্ধারিত সময়ের পর পুরোনো যান চললে তা জব্দ করে ধ্বংস করা হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে একটা ডাম্পিং স্টেশন (পুরোনো যান ফেলার স্থান) পাওয়া গেছে। ঢাকায় একটা স্টেশন তৈরির চেষ্টা চলছে।
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, পরিবহনমালিকেরা নিজে থেকে পুরোনো যান সরিয়ে নিলে নতুন যান কিনতে সরকার সহায়তা করবে। সহজ শর্তে ঋণ পেতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। মালিকেরা নিজ উদ্যোগে না সরালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মে মাসের পর এসব যান চলতে দেবে না।
যুগান্তর
‘কারখানায় উৎপাদনে ধস’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, শিল্প খাতের জন্য বরাদ্দকৃত গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদনের জন্য দেওয়া হচ্ছে। এতে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে শিল্প কল-কারখানায়। গ্যাস না থাকায় কারখানাগুলোর উৎপাদনে ধস নেমেছে। গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল মিলগুলোর উৎপাদন ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। দেশের একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও গ্যাস সংকটের বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গ্যাসের অভাবে গত কয়েক দিনে প্রায় ৪০০ গ্যাসনির্ভর কারখানা, পূর্ণক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পের গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরবরাহ দেশের অর্থনীতির জন্য ভয়ংকর দুসংবাদ।
গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোতে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ফারুক জানান, দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গাজীপুরের কারখানাগুলোয় দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফডি) প্রয়োজন হয়। সেখানে সরবরাহ সীমাবদ্ধ রয়েছে মাত্র ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে । তিনি বলেন, সরবরাহের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় গ্যাসের চাপ কম থাকে। পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের মোট গ্যাস চাহিদা ৩,৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট, অথচ সরবরাহ মাত্র ২,৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘গ্যাসসংকটে শিল্প উৎপাদনে ধস’। খবরে বলা হয়, চাহিদা বাড়লেও দিনে দিনে কমছে গ্যাসের সরবরাহ। দুই বছর আগেও জাতীয় গ্রিডে দিনে গ্যাস সরবরাহ করা হতো প্রায় তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে দুই হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় শিল্প-কারখানার উৎপাদন কমছে।
পাশাপাশি সিএনজি স্টেশন, আবাসিক খাতসহ সব ক্ষেত্রেই গ্যাসের সংকট চলছে। এর মধ্যে সিরামিক, ইস্পাত ও টেক্সটাইল খাতের উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই শিল্প-কারখানায় এবং ক্যাপটিভ পাওয়ারে (শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র) গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা না করে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোয় সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গ্যাসসংকটে শিল্প খাতে বিপর্যয় নেমেছে। কয়েক শ কারখানা বন্ধ হয়েছে। রপ্তানি আয়ও কমেছে। বিনিয়োগ থমকে আছে। কর্মসংস্থানও বাড়ছে না। শিল্প খাত না বাঁচলে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি থেমে যাবে। তাই শিল্পের গ্যাস-বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে। জ্বালানি বিভাগ ও পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক বছর ধরে দেশীয় কূপগুলোয় গ্যাসের উৎপাদন কমছে। চাহিদা সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়েছে।
বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। তার পরও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা প্রায় চার হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। গতকাল রবিবার গ্যাস সরবরাহ করা হয় দুই হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। ঘাটতি ছিল প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। মোট দুই হাজার ৬৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে এক হাজার ৮৪২ মিলিয়ন ঘনফুট ও আমদানীকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) থেকে ৮৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।
সমকাল
‘নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে গত শনিবার পর্যন্ত নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। ইতোমধ্যে যৌথভাবে তাদের আঙুলের ছাপও নিয়েছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর)। এদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মোট রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়াল অন্তত ১৩ লাখ ১৩ হাজারে। তবে নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আইরিশের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের অনুমতি এখনও দেয়নি সরকার।
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। গত সপ্তাহে তারা শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়কে এ চিঠি দেয়। গতকাল রোববার রাতে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে শনিবার পর্যন্ত দেড় বছরে আসা রোহিঙ্গাদের নতুন হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে গত বছরের মে-জুনের পর। চলতি বছরের প্রায় প্রতিদিন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
শুধু গত সপ্তাহেই রাখাইন থেকে এসেছে ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার। এ ছাড়া আলাদাভাবে এসেছে আরও ৫ হাজার ৯৩০ জন। নতুনভাবে আসা রোহিঙ্গারা ২৯ হাজার ৬০৭ পরিবারের সদস্য। সীমান্তে বাংলাদেশের সতর্কতার মধ্যেও নতুন আসা ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ নারী, বাকিরা পুরুষ।
বণিক বার্তা
‘ঢাকার যানবাহনের ৪৯ শতাংশই মোটরসাইকেল ও অযান্ত্রিক’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বর্তমানে ঢাকায় এমন কোনো মোড় নেই, যেখানে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা মোটরসাইকেল চালকের দেখা মিলবে না। অন্যদিকে ঢাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বাদে সব রাস্তা আর মোড়ে দেখা মিলবে পায়ে নয়তো ব্যাটারিচালিত রিকশার। ছোট ছোট এসব যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহনের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা লেগেই থাকে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এসব বাহনের চালকরা জোটবদ্ধ হয়ে মাঝেমধ্যেই নানা দাবি-দাওয়া আদায়ে সড়কে বিক্ষোভ-অবরোধও করেন। ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় অংশজুড়ে রয়েছে এ ধরনের বাহন। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বর্তমানে ঢাকায় যত যানবাহন চলছে, তার ৪৯ শতাংশ মোটরসাইকেল এবং রিকশা-ভ্যানের মতো অযান্ত্রিক বাহন (সড়ক পরিবহন আইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশার মতো বাহন ‘মোটরযান’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত নয়)।
ঢাকার জন্য সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ সমীক্ষা পরিচালিত হয়। ‘আপডেটিং দ্য রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান ফর ঢাকা’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে সমীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়। বর্তমানে সমীক্ষাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। সমীক্ষার তথ্য বলছে, ঢাকার রাস্তায় চলাচলরত মোট যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেলের হিস্যা ২৭ শতাংশ। রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ির মতো অযান্ত্রিক বাহনের পরিমাণ ২২ শতাংশ। ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার) ২০ শতাংশ। থ্রি-হুইলার ১৪ শতাংশ। মাইক্রোবাস, পিকআপের মতো মোটরযান আছে ৭ শতাংশ। ট্রাকের পরিমাণ ৬ শতাংশ। ঢাকায় চলাচলরত মোট যানবাহনের মাত্র ৩ শতাংশ বাস। অন্যান্য যানবাহন রয়েছে আরো ১ শতাংশ।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘পদের অতিরিক্ত কর্মকর্তা, তবু দায়িত্বের বোঝা’। খবরে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীমের মূল দায়িত্ব জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগে। এর অতিরিক্ত হিসেবে তাঁকে প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ, কমিটি ও অর্থনৈতিক অনুবিভাগ এবং অতিরিক্ত সচিবের দপ্তরও সামলাতে হচ্ছে। এই বিভাগের নিচের স্তরের অনেক কর্মকর্তাকেও একাধিক দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
শুধু মন্ত্রিপরিষদ বিভাগই নয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক উইংয়ের দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে একজন কর্মকর্তাকে। অথচ জনপ্রশাসনে পদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ কর্মকর্তা রয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আট মাসের বেশি সময় পরও জনপ্রশাসনে এমন অবস্থা। কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নপ্রক্রিয়ায় জটিলতা এখনো কাটেনি। ফলে প্রশাসনে কাজেও গতিসঞ্চার হয়নি।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, অনুমোদিত পদের থেকে বেশি কর্মকর্তা থাকার পরও একজনকে একাধিক উইংয়ের দায়িত্বে রাখা শীর্ষ আমলাদের প্রশাসনিক ব্যর্থতা। এতে জনসেবা বিঘ্নিত হবে, প্রশাসনের কাজও ব্যাহত হবে। কারণ, একজন কর্মকর্তার পক্ষে একাধিক উইং সামলানো সম্ভব নয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, যেসব উইংয়ের শীর্ষ পদে যুগ্ম সচিবদের পদায়নের কথা ছিল, সেগুলোর বেশির ভাগ পদে এখন অতিরিক্ত সচিবদের দায়িত্ব দেওয়া আছে। গত ২০ মার্চ যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে উইং প্রধান হিসেবে পদায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দেশ রূপান্তর
‘সড়কে জট, ঘরে লোডশেডিং’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দেশের সড়ক ব্যবস্থার জন্য নতুন বিপদ। কয়েক বছর ধরেই এগুলো চলছে; গ্রামের মেঠো পথ থেকে শুরু করে মহাসড়ক পর্যন্ত। সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ অটোরিকশা রয়েছে। সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি এগুলো দুর্ঘটনার বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।
আকারে ছোট হলেও অটোরিকশা চলে ‘রকেটর গতিতে’। যানগুলো তৈরির ক্ষেত্রে যেমন কোনো নিয়ম-নীতি মানা হয়নি, তেমনি চালানোর ক্ষেত্রেও কোনো নিয়ম-নীতি মানা হয় না। এগুলোকে মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়ির সঙ্গেও পাল্লা দিতে দেখা যায়। কখনো ট্রাফিক পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে, অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে।
জানা গেছে, দেশের প্রায় ৫০ লাখ অটোরিকশার মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ৮ লাখ রিকশা চলাচল করে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় এর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। সরকারি কোনো সংস্থার অনুমোদন নেই এসব রিকশার চলাচলে। ঢাকা শহরের কোনো এলাকায় এসব যানের চলাচলের অনুমতি নেই। খুলনা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন এবং কিছু পৌরসভা কিছু অটোরিকশার নিবন্ধন দিয়েছে। সার্বিকভাবে অটোরিকশাকে অবৈধ যান হিসেবেই দেখেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যুতের ওপর চাপ বাড়ছে : অটোরিকশার কারণে একদিকে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে লোডশেডিং বাড়ছে। অটোরিকশার বেশিরভাগই ব্যাটারিচালিত, এগুলোর জন্য চার্জিং স্টেশন করতে হচ্ছে। ফলে বিদ্যুতের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘UP Chairman's absence, People suffer amid service disruptions.’ অর্থাৎ ‘ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সেবা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে মানুষ।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হয় আত্মগোপনে চলে গেছেন, না হয় বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে রয়েছেন।
সারা দেশে চার হাজার ৫৭৫ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মধ্যে অন্তত এক হাজার ৫৩৫ জন বর্তমানে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে জন্মসনদ প্রাপ্তিসহ প্রয়োজনীয় সেনা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ‘সংকুচিত হচ্ছে অর্থনীতি’। খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরশাসনের অবসানের আট মাস পেরিয়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। রাজনৈতিক-সামাজিক পরিস্থিতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরলেও অব্যাহতভাবে সংকুচিত হয়ে আসছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ব্যবসাবাণিজ্যের মন্দা পরিস্থিতি কাটছেই না। বাড়ছে বেকারত্ব। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মতভেদের কারণে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ভাটা পড়েছে। যদিও বিনিয়োগ সামিট করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীই রয়েছেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়।
পাশাপাশি আস্থার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। নতুন কোনো শিল্পকারখানা তো হচ্ছেই না; বরং গত ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বড় ধরনের ধাক্কার মধ্য দিয়ে পরিবর্তন এসেছে। বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ীসহ অর্থবাণিজ্য সম্পর্কিত সব খাতের ওপর প্রভাব তো পড়েছেই। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হতে পারে সেটা নিয়ে তারাও শঙ্কায় রয়েছেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিও সংকুচিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী- ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়াবে, যা গত অক্টোবরে করা পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কম।
এদিকে আবার দেশে নতুন করে ৩০ লাখ মানুষ অতি দারিদ্র্যের মধ্যে পড়বে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, এ বছর বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা ২০২২ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
পাঠকের মতামত
তোমরা রাজাকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা/সার্বভৌমত্ব/গণতান্ত্র/সংস্কার/নির্বাচন/বিচার এসব নিয়ে কথা বলা তোমাদের জন্য বেদাত । এসব কথা তোমরা বইলোনা।আল্লাহ গুনাহ দিবে!