দেশ বিদেশ
১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, আমরা এমন একটি দিন উদ্যাপন করছি, যা মানবিকতা, সহানুভূতি, বৈচিত্র্য ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির প্রতীক ১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৫। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘স্নায়ু বৈচিত্র্যকে বরণ করি, টেকসই সমাজ গড়ি’। এই প্রতিপাদ্য শুধুমাত্র অটিজম বিষয়ক সচেতনতার সীমারেখায় নয় বরং আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়-একটি মানবিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের পথে আমাদের সকলের দায়িত্ব ও অঙ্গীকার কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি গতকাল ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অধীন নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট (এনডিডি) আয়োজিত ১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, কিশোর, যুব এবং প্রাপ্তবয়স্করা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সহায়তা, উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, এবং সম্মানজনক পরিবেশ। আমাদের দায়িত্ব এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না, কেউই অবহেলিত হবে না। তাদের প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও সক্ষমতাকে বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত সুযোগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সমন্বিত প্রয়াসেই গড়ে উঠতে পারে এমন এক পরিবেশ, যেখানে প্রতিটি মানুষ সমান মর্যাদা ও ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে পারবে এবং তার নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী সমাজে অবদান রাখতে পারবে। সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় হবে স্পষ্টত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। আমাদের সেবা প্রতিটি গ্রাম পর্যায়ে নিয়ে যাবো বলে তিনি উল্লেখ করেন। উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, অটিজম ব্যক্তি কোনো সমাজের বোঝা নয়, তারা মানুষের জীবনের ভিন্ন বাস্তবতা। তাদের প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সহায়তা, উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের অন্যতম মূলনীতি হলো ‘কাউকে পেছনে ফেলে রাখা যাবে না। এ মূলনীতিকে ধারণ করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে স্বচ্ছতা গড়ে তোলা। আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হবে। কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার কারিগর হিসেবে সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে আমরা আমাদের সেবা পৌঁছে দিবো। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, অটিজম প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ধ্রুপদ এবং অভিভাবক নকিব খান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিউরো- ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) শামীমা ফেরদৌস।