দেশ বিদেশ
সাগর-রুনি হত্যা মামলা
মামলা তদন্তে আরও ৬ মাস সময় পেলো টাস্কফোর্স
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিতে সরকার গঠিত টাস্কফোর্সকে ছয় মাস সময় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। অন?্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট শিশির মনির। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরসাদুর রউফ আদালতকে জানান, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের বদলি বা রদবদল হয়েছে। এসব নথি খুঁজে বের করা হচ্ছে এবং এর জন্যই তদন্ত শেষ করতে আরও সময় প্রয়োজন। পরে আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, কী পরিমাণ তদন্ত করা হয়েছে। কী অগ্রগতি আছে, এই মর্মে একটি আংশিক রিপোর্ট আমাদের দেখিয়েছেন (রাষ্ট্রপক্ষ)। কিন্তু যেহেতু আইনি বাধ্যবাধকতা আছে, তদন্ত চলমান। এজন্য সে রিপোর্টের কপিটি আইনিভাবে পাইনি। আদালতেও জমা না দিয়ে উপস্থাপন করেছেন। তিনি (রাষ্ট্রপক্ষ) আদালতকেও এটি আশ্বস্ত করেছেন তদন্ত চলছে, তদন্তের অগ্রগতি আছে। বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে। আমেরিকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ডিএনএ টেস্টের জন্য অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। এগুলো আসার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। একজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। এর প্রেক্ষিতে ৯ মাস সময় চাওয়া হয়েছে। আমরা তিন মাস সময়ের কথা বলেছিলাম। আদালত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেছেন। পরবর্তী ২২শে অক্টোবর দিন রেখেছেন। আমরা আশা করবো, এই সময়ের মধ্যে বা তার আগে তদন্ত শেষ হলে রিপোর্ট আদালতে পেশ করবেন।
২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার নিউজ এডিটর সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন। ঘটনার সময় তাদের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসায়ই ছিলেন। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় কোনো সন্দেহভাজন আসামির নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের পর ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল মামলাটির তদন্তভার র্যাবের হাতে দেয়া হয়।