দেশ বিদেশ
সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পুড়ে যাওয়ার তথ্য সঠিক নয়- ডিএমপি
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবারসাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল দুপুরে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের সময় আরও বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে কেউ কেউ ডিবি’র নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন যা সঠিক না।
একই বিষয়ে গতকাল দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদর দপ্তর থেকে পাঠানো আরেক বার্তায় জানানো হয়েছে, কেউ কেউ ডিবি’র নথি পুড়ে যাওয়ার নিউজ করছেন, তা সঠিক নয়। আগুনে পুড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব আরশাদ রউফ বলেছেন। ডিবি’র অধিকাংশ অফিসার বদলি হওয়ায় পুরনো নথি ও ডকুমেন্টস খুঁজে পাওয়া সময় সাপেক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষ ৯ মাস বৃদ্ধির কথা বললে বাদী পক্ষে এডভোকেট শিশির মনির ৩ মাস বৃদ্ধির কথা বলেন। আদালত ৬ মাস বৃদ্ধির মৌখিক আদেশ দেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ডিবি অফিসে দেয়া আগুনে অনেক রেকর্ডের সঙ্গে এই মামলার অনেক নথিও পুড়ে গেছে বলে হাইকোর্টকে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। সকালে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট আরশাদুর রউফ এ তথ্য দেন। তবে তদন্তের গোপনীয়তার স্বার্থে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেননি তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে আরশাদুর রউফ তদন্ত সম্পন্ন করতে ৯ মাস সময় চান। মামলার রিটকারী আইনজীবী শিশির মনির বলেন, মামলাটির তদন্ত বারবার পেছায়। এতে জনমনে খারাপ বার্তা যায়। পরে আদালত সাংবাদিক দম্পতি হত্যার ঘটনায় করা এ মামলার তদন্তে আরও ৬ মাস সময় মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনদিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল মামলাটি র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।