দেশ বিদেশ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বৈদেশিক দেনা কমছে
স্টাফ রিপোর্টার
২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবারঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বৈদেশিক দেনার পরিমাণ দিন দিন কমে আসছে বলে সরকার দাবি করছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বৈদেশিক দেনা ছিল প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। এখন তা নেমে ১০ হাজার কোটি টাকায় এসেছে। অর্থাৎ দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ২৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে সরকার। এই বছরের মধ্যে এসব দেনা পরিশোধের সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে, তখন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট বৈদেশিক দেনা ছিল ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসেবে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা)। এখন তা ৮২৯ মিলিয়ন (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসেবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) ডলারে নেমে এসেছে। এই বছরের মধ্যে এসব দেনা পরিশোধের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট বকেয়া ৮২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া ৫২৯ মিলিয়ন ডলার। আর জ্বালানি খাতের বকেয়া ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিদ্যুৎ খাতের বকেয়ার মধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিল, কয়লা বিল উল্লেখযোগ্য। আর জ্বালানি খাতের মোট বকেয়ার অধিকাংশই এলএনজি আমদানির বিল।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য, বাংলাদেশ ৫৫ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে ৯৬ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা করেছে। আর ২০২৫-২৬ সালে এই সংখ্যা ১১৫টিতে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার আনুমানিক মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৬৭ হাজার ৬০৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা, গড়ে প্রতি কার্গো এলএনজির জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৫৮৭ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বৈদেশিক বকেয়া পরিশোধের জন্য ৬০ দিনের একটি চক্র ধরে নেয়া হয়েছে। সরকার তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করবে।