ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

নবীনগরে ৪০০ বছরের পুরনো মসজিদ এখন কালের সাক্ষী

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার
mzamin

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ১৬৩৯ইং সালে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ। রয়েছে একটি বিশাল মাঠ। আর এ মাঠে নামাজ ও ঈদের নামাজ পড়ছেন মানুষ। প্রায় ৪০০ বছর পূর্বে নির্মিত মোঘল আমলে তৈরি সালেহ্‌ আহাম্মদ চৌধুরী জামে মসজিদ এক প্রাচীন স্থাপত্যের নাম। তাজমহলের আদলে নির্মিত এ মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত। ১৬৩৯ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন আহাম্মদপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারের প্রয়াত সালেহ্‌ আহাম্মদ চৌধুরী।
সরজমিন দেখা যায়, আনুমানিক ১০ শতক জায়গায় তৈরি মসজিদটির পশ্চিম পাশে আছে বিশাল এক পুকুর। মসজিদের দক্ষিণে আছে কবরস্থান। পূর্ব পাশে রয়েছে আহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া মসজিদের ছাদে শোভা পেয়েছে বড় একটি গম্বুজ ও ৪টি মিনার। মসজিদের ভেতরের দেয়ালে পোড়া মাটির বিভিন্ন কারুকাজে নির্মিত নানা রকম নকশা যা সবার নজর কাড়ে। মসজিদের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, মূল মসজিদটির আকার খুবই ছোট। নির্মাণকালীন সময়ে তিন কাতার মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা রেখেই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মসজিদ কমিটি ২০০১ সালে পূর্বের মসজিদটি অক্ষত রেখে এর সামনে নতুন মসজিদ ও আধুনিক অজুখানা নির্মাণ করেন।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারাকে লালন করে দাঁড়িয়ে আছে দৃষ্টিনন্দন প্রাচীন সালেহ্‌ আহাম্মদ চৌধুরী জামে মসজিদটি। যার সৌন্দর্য দেখার জন্য এখনো দূর-দূরান্ত থেকে শত শত দর্শনার্থী ভিড় জমায়। স্থানীয় বাসিন্দা মুরাদ চৌধুরী জানান, ১৬৩৯ সালে আমাদের গ্রামে এ মসজিদটি প্রয়াত সালেহ্‌ আহাম্মদ চৌধুরী নির্মাণ করেছিলেন। আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন। বর্তমানে আমরাও নামাজ আদায় করছি। মসজিদটি সরকারি উদ্যোগে সংস্কার করে সংরক্ষণ করা গেলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবে। মসজিদটির বর্তমান ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া আহমেদ বলেন, আমি কিছুদিন আগে থেকে এই মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করছি। আমি এসে শুনেছি এ মসজিদের প্রায় ৪০০ বছর হয়ে গেছে। এটা শুকরিয়া আদায়ের বিষয়, আলহামদুলিল্লাহ। এত পুরোনো একটি মসজিদে ইমামতি করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ মসজিদটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বপ্রথম মসজিদ। তিনি বর্তমান সরকারের কাছে পুরোনো এই মসজিদটির স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মসজিদটি সংস্কার করে সংরক্ষণের জন্য আহ্বান জানান। আহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা ও লাউর ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, এই মসজিদটি আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য, আমাদের গর্বের বিষয়। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে মসজিদটি সংস্কার করে সংরক্ষণের ব্যাপারে আমি আমার সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো।

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status