দেশ বিদেশ
জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবারজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের), তার স্ত্রী শরীফা কাদের, মেয়ে ইসরাত জাহান কাদের ও অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের হিসাব বিবরণীর তথ্য চেয়েছে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। এ ছাড়া জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বা অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সিআইসি। গতকাল সিআইসি’র উপ-পরিচালক তাসনিম আলম এ চিঠি পাঠিয়েছেন। এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের একক বা যৌথ নামে অথবা তার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে যেকোনো মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ যেকোনো ধরনের বা নামের মেয়াদি আমানত হিসাব), যেকোনো ধরনের বা মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যেকোনো ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত হয়ে থাকলে ওই হিসাবের ২০১৭ সালের ১লা জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী চিঠি পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করা হলো। উপযুক্ত কারণ ছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্যাবলী সরবরাহ করা না হলে এবং উপর্যুক্ত চাহিদা মোতাবেক তথ্য সরবরাহে অস্বীকৃতি বা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এককালীন ৫০ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে প্রতিদিনের জন্য পাঁচশ’ টাকা হারে জরিমানা আরোপ করা হবে।
আরেক চিঠিতে বলা হয়, জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে যেকোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (লিমিটেড কোম্পানি ব্যতিত) বিভিন্ন শাখায় পরিচালিত সব হিসাবের অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
স্থগিতাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করে এ সংক্রান্ত একটি পরিপালন প্রতিবেদন (হিসাবগুলোর সর্বশেষ স্থিতি উল্লেখসহ) জরুরিভিত্তিতে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
পাঠকের মতামত
শায়ান বলছিল, এ মাটি এমন স্বাধীন, শত্রুই স্বাক্ষী দেবে। কথা টা উল্টা বুঝছিলাম এতদিন। আজ এই নিউজ সহ একইরকম ঘটনাগুলো প্রমান করে দিলো, কথাটা ঠিক, কিন্তু আমি যে অর্থে বুঝতাম, সেটা ভুল।
জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাবে হাড্ডি ছাড়া আর কিছু থাকার কথা না। তাই, হাড্ডির উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে লাভ কি?
এখনও গ্রেফতার করা হয় নি কেন?
৮ মাস সময় লাগল হিসাব জব্ধ করতে!! এত দিনে ত হিসাব খালি করে দেয়য়া হয়েছে। হায়রে এ দেশের বিচার বাবস্তা!! চোর ধরার আগে চোরকে সুযোগ করে দেয়া হত পালাতে।
ভারতের দালাল এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এক নম্বর দোসর জাতীয় পার্টি তথা জিএম কাদের। এদেশের নৈরাজ্য খুন গুম টাকা লুটপাট পাচার এসবের দায়ভার জিএম কাদেরকেও নিতে হবে। একে অতিসত্বর গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সাথে ফ্যাসিস্ট ও তার লুটপাটকারী দোসরদের সমস্ত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বিগত ১৫ বছরে যাদের পর অন্যায় আচরণ করা হয়েছে খুনগুন লুটপাট করা হয়েছে তাদেরকে এই টাকা দিয়ে পুনর্বাসন করতে হবে।
হাসিনার থেকে উচ্ছিষ্ট ভোগি আরো অনেক দালান আছে এই দলে। অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে একশন শুরু করা হোক। এরা উচ্ছিষ্টের লোভে অনেক সময় এরশাদের কথাও শোনে নাই। এরা রাজনিতিবিদ নামের কলঙ্ক। অর্থ আর পদের লোভে এরা পতিত স্বৈরাচারের পদলেহন করেছে কয়েক যুগ ধরে। এদেরও কোন ক্ষমা নেই।