বিনোদন
‘মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচলেও হয়রানি বন্ধ হলো না’
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ মার্চ ২০২৫, রবিবার
গত সরকার আমলে কালো তালিকাভুক্ত শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। সম্প্রতি তিনি এত দিনের বঞ্চনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ২০১১ সালে আমি সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে মনোনীত হই। পুরস্কার প্রদান হয় ২০১৩ সালের মার্চে। আমার বড় কন্যার অসুস্থতার কারণে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারিনি। পরবর্তীতে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পুরস্কারটি সংগ্রহ করি। ২০১৩ সালের শেষে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আমি ফেসবুকে ছোট্ট একটি লেখা লিখি। যার সারমর্ম ছিল- শুধুমাত্র শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, তাদের সময় এখন ফিরে আসার। কিন্তু রাতারাতি বারুদের মতো আমার লেখনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলাফল- ফেসবুক পোস্টের একদিন পরেই মধ্যরাতে আমার নেত্রকোনার বাড়ি ঘেরাও হয়। তিনি আরও বলেন, আমার মা আমৃত্যু নেত্রকোনা জেলা জাসাসের সহ-সভাপতি ছিলেন। অথচ পুলিশ ফোর্স জানালো তাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আছে, আমার বাসা নাকি জামায়াত-শিবির জঙ্গির আস্তানা! তারা বাড়ি তল্লাশি করবে। আমি অসম্মতি জানালে আমার ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে যেতে চাইলো। আমার সঙ্গে অনেক বাকবিতণ্ডার পর তারা চলে গেলেন। বাধ্য হয়ে আমি প্রেস কনফারেন্স করলাম। আমি মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচলেও হয়রানি বন্ধ হলো না। ২০১৪ সাল থেকে একের পর এক স্টেজ শো বাতিল হতে থাকলো। সিনেমার গান- সে তো স্বপ্ন! আমার প্রায় ৩০ লাখ ফলোয়ারের ফেসবুক পেজ গায়েব হয়ে গেল যেন আমার কথা মানুষের কাছে না পৌঁছায়! এমনকি নতুন ফেসবুক আইডি খুললেও সেটা লাপাত্তা হয়ে যেতো! এ গায়িকা লেখেন, ২০১৪ সালে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি সমর্থক হওয়ায় আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে গেল। ততদিনে চেনা মুখগুলো অচেনা হতে শুরু করলো। আওয়ামী সমর্থকদের তখন জোর দাবি- শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূ কথা বলা এই আমাকে কেন জাতীয় পুরস্কার দেয়া হলো? অথচ আমি একটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করেছিলাম মাত্র! ওদের ভাব এমন যেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি আমার অর্জন নয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার এই সম্মাননা দেয়নি, স্বয়ং শেখ হাসিনা বুঝি ভিক্ষা দিয়েছেন!