ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

সংস্কারের মত এখনও জানায়নি বিএনপি জামায়াত এনসিপি

অনলাইন ডেস্ক

(৪ সপ্তাহ আগে) ১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন

mzamin

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘সংস্কারের মত এখনও জানায়নি বিএনপি জামায়াত এনসিপি’। খবরে বলা হয়, পাঁচ সংস্কার কমিশনের ১৬৬ সুপারিশের বিষয়ে এখনও মতামত জানায়নি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ২৩টি দল। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জানিয়েছে ১৫টি দল। বিএনপি আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত এবং জামায়াত ও এনসিপি আরও কয়েক দিন সময় চেয়েছে।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নয়, দলীয় ৩১ দফার আলোকে মতামত জানানো হবে। নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে– এ শঙ্কায় গণপরিষদ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ও প্রাদেশিক ব্যবস্থায় রাজি নয় তারা। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো চায়, শুধু নির্বাচনবিষয়ক সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকার করবে; বাকিটুকু করবে নির্বাচিত সরকার।

জামায়াত সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চায়। গণপরিষদে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি তোলা এনসিপি জানিয়েছে, সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দলীয় মতামতে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ এবং আগে গণপরিষদ নির্বাচনের মতামত থাকবে।

বড় দল বিএনপি মতামত না জানালেও আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম দিন এলডিপির সঙ্গে হবে আলোচনা। কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সমকালকে বলেন, আগে ১৩টি দল মতামত জানিয়েছিল। মঙ্গলবার জেএসডি ও গণফ্রন্ট জানিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে অনুরোধ করা হয়েছিল। বিএনপি ২০ মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছিল; কমিশন ১৮ মার্চের মধ্যে দিতে অনুরোধ করে। তবে দলগুলো মৌখিকভাবে আরও কিছুদিন সময় চেয়েছে।
কমিশন সূত্র সমকালকে জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সময় চাওয়ার বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। সরকারপ্রধানের কাছ থেকে জবাব এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই যেহেতু সংস্কার করা হবে, তাই তাদের জন্য অপেক্ষা করা হবে। কিন্তু কাজ এগিয়ে রাখতে যেসব দল মতামত জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে অসুবিধা নেই।

প্রথম আলো

‘মহাসড়কে প্রবাসীদের গাড়ি নিশানা করে ডাকাতি’-এটি দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা বেশি ঘটছে প্রবাসীদের নিশানা করে। আর সবচেয়ে বেশি ঘটছে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র বলছে, সম্প্রতি একাধিক ডাকাতির ঘটনার পর মহাসড়কে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ৪৪৩ ডাকাতের একটি তালিকা করেছে পুলিশ। সেই তালিকা ধরে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি রোধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিত টহলের বাইরে ৭০০ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রবাসীদের গাড়ি ‘টার্গেট’ করে মহাসড়কগুলোতে যে ডাকাতির ঘটনাগুলো ঘটছে, তা বন্ধ করতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি প্রবাসী ‘হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। তারা বলছে, বিমানবন্দর থেকে প্রবাসীরা যেসব গাড়ি ভাড়া করে বাড়িতে যাবেন, সেসব গাড়ির ভিডিও করে রাখা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, চালকের লাইসেন্সের কপি ও মুঠোফোন নম্বর রাখা হবে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পৌঁছা পর্যন্ত ওই গাড়ি নজরদারির মধ্যে রাখা হবে।

বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন মহাসড়কে প্রবাসী যাত্রী বহনকারী একটি কারের চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর আবদুল্লাহপুর, হাউস বিল্ডিং, স্টেশন রোডে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটে কুমিল্লা এলাকায়।

যুগান্তর

‘ভারতীয় প্রোপাগান্ডায় তুলসীর তাল’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, ভারতে বসে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই এই ধরনের বিভ্রান্তিকর অভিযোগ অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। তুলসীর এই মন্তব্য ভারতীয় প্রোপাগান্ডানির্ভর এবং সত্যের অপলাপ বলে মনে করছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারাও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমনির্ভর হয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের দেওয়া এই ধরনের অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, তুলসী গ্যাবার্ড ভারতীয় প্রোপ্রাগান্ডার সুরে তাল মিলিয়েছেন। অন্যদিকে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলেও তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে কিছু সহিংসতা হয়েছে, যার মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এর বেশির ভাগই ছিল রাজনৈতিক ঘটনা। রাজনৈতিক কারণে হামলা হলেও আওয়ামী লীগের হিন্দু নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করে। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হলেও তা এড়িয়ে যাওয়া ভারতীয় গণমাধ্যম ৫ আগস্টের পরের প্রত্যেকটি ঘটনাকে প্রচার করছে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে। বিশেষ করে রাজনৈতিক সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ভারতীয় গণমাধ্যমে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তুলসী গ্যাবার্ড তিন দিনের সফরে ভারতে এলে তার সামনেও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ‘কাল্পনিক’ চিত্র উপস্থাপন করা হয়।

কালের কণ্ঠ

দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘পড়াশোনায় পেছাচ্ছে শিক্ষার্থীরা’। খবরে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা, শিক্ষকদের আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনসহ নানা কারণে পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সময়মতো বই দিতে না পারায় গত আড়াই মাসে সঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষকসংকট প্রকট। এতে চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতির আশঙ্কা করছেন শিক্ষাবিদরা।

গত সাত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ নানা দাবিতে আন্দোলন জোরদার হয়। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে মারামারি, সংঘর্ষেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর বড় উদাহরণ। রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনও বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করে।

বর্তমানে ছোটখাটো দাবিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন করছেন। এমনকি যা আলোচনার টেবিলে সমাধান সম্ভব, সেগুলো নিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাইরে বিক্ষোভ করছেন, ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ করছেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভোস্টের পদত্যাগ নিয়েও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা এখন কথায় কথায় আন্দোলনে নেমে যাচ্ছে।

ইত্তেফাক

‘গাজায় ইসরাইলের নারকীয় হামলা, চার শতাধিক নিহত’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় নারকীয় হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। সোমবার রাত থেকে চালানো হামলায় নিহতের সংখ্যা চার শতাধিক ছাড়িয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ইসরাইলের এই হামলায় বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা হামাস নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে।

সেহরির সময় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ

গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ একটি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় অনেক লোক সেহরি খাচ্ছিলেন, তথনই গাজায় বিস্ফোরণ শুরু হয়। ২০টিরও বেশি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে শুরু করে বলে তারা জানিয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে নিহতদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং ২৮ জন নারী রয়েছে বলে জানা গেছে। কর্মকর্তারা সব হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক লাশ বের হয়ে আসছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাত্জ মঙ্গলবার সকালে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের বারবার অস্বীকৃতি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে আসা সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের জবাবে এই হামলা। ইসরাইল এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করবে।’

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া’। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের বাংলাদেশ সংক্রান্ত মন্তব্য নানা মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এটিকে ‘গুরুতর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ইসলামিক খিলাফত ধারণার সাথে বাংলাদেশকে যুক্ত করার প্রচেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।

অন্য দিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে যারা বাংলাদেশে আসছেন তারা সবাই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির সাথে আমাদের আরো জোরালোভাবে কাজ করা দরকার। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীরাও ভূমিকা রাখতে পারে।

এ ব্যাপারে সেন্টার ফর অল্টারনেটিভের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ গতকাল নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড ট্রাম্প প্রশাসনে দায়িত্ব নেয়ার আগেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পও নির্বাচনে জেতার আগে এবং পরে বাংলাদেশ ইস্যুতে টুইট করেছেন। তুলসী গ্যাবার্ডের সাথে ভারতের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রাজনীতি থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই সংখ্যালঘু ইস্যুতে সমস্যা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সম্পদের ওপর আক্রমণ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে।

বণিক বার্তা

‘খাদ্য আমদানি প্রয়োজন প্রায় ৮০ লাখ টন, হয়েছে ৪৮ লাখ’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে অন্তত ৬৮ লাখ টন গম আমদানির প্রয়োজন পড়বে বলে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এছাড়া পর পর দুটি বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ লাখ টন। সে হিসেবে রক্ষণশীলভাবে হিসাব করলেও চলতি অর্থবছরে সর্বমোট চাল ও গম আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি।

গত ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে খাদ্যশস্য দুটি আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ লাখ টনের বেশি। এ অনুযায়ী বাকি তিন মাসে আমদানি করতে হবে ৩২ লাখ টন। ইউএসডিএর পরিসংখ্যানকে আমলে নিয়ে অত্যন্ত রক্ষণশীলভাবে হিসাব করতে গেলেও অর্থবছরের বাকি সময়ে প্রতি মাসে গড়ে ১০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে। বন্যায় উৎপাদন হ্রাসের প্রেক্ষাপটে বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং খোলাবাজারে চাল বিক্রিসহ সরকারের খাদ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো নির্বিঘ্ন রাখতে এ পরিমাণ আমদানির বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আরেক পূর্বাভাসে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে প্রায় ৬৬ লাখ টন চাল ও গম আমদানির প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছিল। সংস্থাটির তথ্যমতে, দেশের আমদানির ৮০ শতাংশই মূলত গম। কিছু চাল ও ভুট্টা আমদানির প্রয়োজন পড়ে। সে হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাল আমদানি প্রয়োজন পড়ার কথা সাড়ে চার লাখ টন। আর গম আমদানির প্রয়োজন পড়ার কথা প্রায় ৬১ লাখ টন।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘জুলাইয়ের নিপীড়কদের শাস্তি দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো’। খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনার পতন ঘটানো জুলাই আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে। এই আন্দোলনে প্রথম হামলা ও নিপীড়নের শুরুটাও হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্দোলনকারীদের ওপর এসব হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পাশাপাশি হামলায় উসকানি দেওয়া শিক্ষকেরাও শাস্তি পেতে যাচ্ছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে চার শ শিক্ষার্থী ও নয়জন শিক্ষককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৯ এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এসব শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শুধু এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই জুলাই গণ- অভ্যুত্থানে হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। এসব ঘটনাকে আমলে নিয়ে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জুলাইয়ে আন্দোলন চলাকালে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে নেতৃত্ব দেয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। এসব ঘটনার বিচার না হলে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দীর্ঘায়িত হবে।

দেশ রূপান্তর

‘ভবন নির্মাণে শর্ত শিথিল হচ্ছে’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, অবশেষে সংশোধন হতে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ)। আজ বুধবার এ-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধনী চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে সরকার। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিল শর্ত শিথিল করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ড্যাপের সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছে। সংশোধিত ড্যাপে সরকারি-বেসরকারি আবাসন, ব্লকভিত্তিক আবাসন, একত্রীভূত প্লটের মালিকদের কিছুটা ফ্লোর এরিয়া রেশিও (ফার) বাড়ানো হয়েছে। এতে আগের চেয়ে ভবনের প্রশস্ততা ও উচ্চতা বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের সুবিধা পাবেন ভূমিমালিকরা। সব মিলিয়ে কম জায়গায় বেশি মানুষের আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা শহরের জন্য বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-৩৫) বা ড্যাপ ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট অনুমোদিত হয়। পরের বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর কোনো ধরনের কারিগরি সুপারিশ ছাড়াই তা সংশোধন করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদ্যমান ড্যাপকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানায় রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (রিহ্যাব) সংশ্লিষ্ট খাতের স্টেকহোল্ডাররা (অংশীজন)। এরপর বিষয়টি নিয়ে স্থপতি ইনস্টিটিউট, প্ল্যানার্স ইনস্টিটিউট এবং রিহ্যাবসহ বিভিন্ন সংগঠন দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ডাক দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবারও বেশ কয়েকটি সংগঠন ড্যাপের পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করে।

নিউ এজ

দ্য নিউ এজের প্রধান শিরোনাম ‘10 banks in Bangladesh hold Tk 2.57 lakh crore in default loans’ অর্থাৎ ‘বাংলাদেশের ১০ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ দুই দশমিক ৫৭ লাখ কোটি টাকা।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে সম্মিলিতভাবে দশটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই দশমিক ৫৭ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৭৫ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খেলাপি ঋণের উদ্বেগজনক এ হার আর্থিক খাতের দুর্বলতাকেই তুলে ধরে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এই দশ ব্যাংকের মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো-জনতা, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। 

এসব ব্যাংকে গত ডিসেম্বরের শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২৬ হাজার ৬২ কোটি টাকা। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ জনতা ব্যাংকে।

পাঠকের মতামত

আমরা অত্যন্ত ছোট খাটো মানুষ তবু একটা পরামর্শ দিতে পারি বিএনপি এনসিপি ঐক্য জোট করে ফেলুন এবং যাতে করে উভয় দলেরই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি মনে হয় না ভাবে কেউ শাসন করার অংশীদার হতে পারবে তবে তবে একজন আরেকজনকে সন্দেহ না করে এই দুই দলের একটা জোর হলে দেশ দ্রুত স্থিতিশীল হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি।

সাহিল
১৯ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status