প্রথম পাতা
৬ হাজারের বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ মার্চ ২০২৫, সোমবারদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। সরকারের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত এ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি মাঠ পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত ৬ হাজার ২৯৫টি মামলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচিত হওয়ায় প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
মাঠ পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৮টি সভায় মিলিত হয়েছে। এসব সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ৬২৯৫টি মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিগত সরকারের ১৬ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে অসংখ্য মামলা হয়। মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং মাঠ পর্যায়ে যাচাই- বাছাইয়ের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সভাপতি করে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিগুলো হলো-(১) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সদস্য রেখে সাত সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি এবং (২) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সভাপতি করে পুলিশ সুপার ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের সদস্য রেখে চার সদস্যবিশিষ্ট জেলা পর্যায়ে কমিটি। মাঠ পর্যায়ের কমিটি যাচাই বাছাইয়ের পর বিভিন্ন জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটরের কার্যালয় কর্তৃক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো হচ্ছে। নিরপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
পাঠকের মতামত
পরিকল্পনা মন্দ নয়। কারণ অতি উৎসাহি বিরোধীদল এর নেতারা পুলিশের সঙ্গে যোগ সাজশে অর্থ উপার্জন করার জন্য মামলা দায়ের করেছেন । গ্রেফতার বাণিজ্য নামে পরিচিত। কিন্ত এমন লোককে মুক্তি দেওয়া ঠিক হবে না, যারা ষড়যন্ত্র করবে আওয়ামীলীগ কে ফিরিয়ে আনার জন্য। খুব সাবধানে লোক বাছাই করতে হবে, যারা কোন অপরাধ করে নি, কিন্ত হয়রানির শিকার ।