ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

রাজনীতি

বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় ধর্ষণকারীরা রক্ষা পাওয়ায় 'ধর্ষণের' মাত্রা বেড়েই চলছে: তারেক রহমান

স্টাফ রিপোর্টার

(১ মাস আগে) ১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

mzamin

দেশে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পাওয়ায় ‘ধর্ষণের’ মাত্রা দিন-দিন বেড়েই চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে। আছিয়ার ওপর ঘটে যাওয়া নির্মম পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে শহর থেকে গ্রামে। রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছে মিছিল আর স্লোগানে। একই সঙ্গে তার ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা ছিল প্রতিটি মানুষের। 

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিএমএইচ থেকে আসা খবরে শোক আর ক্ষোভে একাকার মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে মানুষরূপী কুলাঙ্গারদের। আমি শুরুতে এ ঘটনা জানার পর তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদেরকে বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন-দিন বেড়েই চলছে। 

তারেক রহমান বলেন, আধুনিক এই যুগে মানব জাতি এরূপ অমানবিক, পৈশাচিক এবং বর্বরোচিত কাজে লিপ্ত হতে পারে তা কল্পানাতীত। ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র। আমাদের সমাজে যে নিমর্ম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। 

তিনি বলেন, আমরা দেখছি পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশুদের ওপর চলমান নিপীড়ন, হেনস্তাকরণ ও ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য কাজ রোধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। গত ৫ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে নারী হেনস্থা, হয়রানী, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এই ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে!

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যেকোন ধরনের সহিংসতা বা হয়রানী মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে। এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।

তিনি বলেন, মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া গত কয়েকদিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১ ঘটিকার সময় মৃত্যুবরণ করে (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। আছিয়ার মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ, গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে আছিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারেক রহমান।

পাঠকের মতামত

১৬ বছর ধরে হাসিনার শাসনামলে নীরবতা ও ভয়ের রাজত্ব ছিল। অথচ আজ, যখন অধ্যাপক ইউনূস একটি বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তখন সাধারণ মানুষ অবাক হয়ে দেখছে কিভাবে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করছে, অথচ তাঁকে প্রয়োজনীয় সময় ও নৈতিক সমর্থন দেওয়ার বদলে কেবল ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। মানুষ দেখছে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে—যেমন ধর্ষণের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে আইনের সংস্কার—এবং দীর্ঘ অন্ধকার পথের শেষে এক টুকরো আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু তারা একই সাথে আতঙ্কিত যে, বড় রাজনৈতিক দলগুলো কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়াই আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে। যদি অধ্যাপক ইউনূস না থাকতেন, তাহলে কে এমন ভারত ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দেশকে টিকিয়ে রাখতে পারতেন? কে মাত্র সাত মাসে ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করতে পারতেন? এখানে মাত্র সাত মাসে তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরা হলো: ৬২,০০০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২,১৪০ কোটি টাকায় উন্নীত ৯টি ইউরোপীয় দেশের ভিসা প্রসেসিং সেন্টার বাংলাদেশে স্থানান্তর রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হ্রাস—যা আগের বছরগুলোর বিপরীত বাংলাদেশ ফুটবলে ফিফার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, ৬৩৫ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার ৪ দিনের আনুষ্ঠানিক সফর বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চীনের ইউনান প্রদেশের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার সুযোগ বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের যুগান্তকারী সূচনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি—শুধুমাত্র অধ্যাপক ইউনূসের আন্তর্জাতিক খ্যাতির কারণে সম্ভব হয়েছে প্রশ্ন হলো: রাজনৈতিক দলগুলো কি সত্যিই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত, নাকি শুধুই ক্ষমতার জন্য মরিয়া? বাংলাদেশের মানুষ এমন নেতৃত্বের যোগ্য, যারা রাজনীতির চেয়ে উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে।"

Azan
১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status