দেশ বিদেশ
পতিত জমিতে আখ চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন ইমরান
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
৬ আগস্ট ২০২২, শনিবারদশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের মধ্যে জৌতা গ্রামের কৃষক মো. ইমরান গাজী (৩৫) জৌতা খালের পাশে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তার ৬০ শতাংশ জমিতে কোনো ফসল হতো না। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে মো. ইমরান গাজী ওই পতিত জমিতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উন্নত জাতের ঈশ্বরদী ২০৮ আখ চাষের উদ্যোগ নেন। বর্তমানে তার ক্ষেতে প্রায় ৬ হাজার আখ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। মো. ইমরান গাজী বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে আখ চাষে তার ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি ৪ লাখ টাকার আখ বিক্রি করার আশা প্রকাশ করেন। আখচাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন ইমরান। একই এলাকার সাহেব আলী খান (৫০) ৭০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন, তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে সকালে ক্ষেত থেকে তুলে ট্রাকে করে দুপুরের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে দেয়া যাবে টাটকা রসালো আখ দামও ভালো পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে তাদের ক্ষেতের আখ কিনে নেয়ার জন্য ঢাকার কয়েকজন মহাজন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দশমিনা উপজেলায় বর্তমানে শতাধিক হেক্টর পতিত জমিতে আখচাষ করা হয়েছে। আখের ফলনও ভালো হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, পতিত জমিতে আখ চাষে উদ্যোগী কৃষকদের দশমিনা কৃষি দপ্তর থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ভৌগলিক কারণে দশমিনার মাটি আখ চাষের উপযোগী তাই দিন দিন আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন স্থানীয় কৃষকরা। তিনি আরও বলেন, আখ চাষিদের পণ্যর ন্যায্য মূল্য ও পরিবহনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে সহায়তা করা হবে।