খেলা
স্পিনেই সব ওভার আর উইকেটে ওমানের বিশ্ব রেকর্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৪:১০ অপরাহ্ন

ওমানের রাজধানী মাসকাটের আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে চলছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লীগ ২ -এর নবম রাউন্ড। সবগুলো ম্যাচ গড়াচ্ছে একই মাঠে। তাই ব্যবহৃত পিচগুলোতে খেলা হচ্ছে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। শুকনা-মন্থর পিচে স্পিনকে কাজে লাগানো হচ্ছে দারুণভাবে। যার সর্বোচ্চ ব্যবহারটা দেখালেন ওমানের অধিনায়ক যতীন্দর সিং। রোববার নামিবিয়ার বিপক্ষে সবগুলো ওভারই করেন স্পিনাররা। এবং স্পিনিং ঘূর্নিতে ঘায়েল নামিবিয়ার সব ব্যাটার। এতে করে দারুণ দু’টি রেকর্ড দেখল ক্রিকেট বিশ্ব।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে টানা দুই ম্যাচে স্পিনারদের দিয়ে প্রতিপক্ষ দলকে অলআউট করা একমাত্র দল ওমান। এমনকি ৫০ ওভারের ম্যাচে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওভারে কোনো পেসার ব্যবহার না করার রেকর্ডটিও এই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির। এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় নামিবিয়া। ম্যাচে একজনও পেসার বা ফাস্ট বোলারকে ব্যবহার করেননি যতীন্দর। স্পিনারদের হাতের ঘুর্নির সামনে মাত্র ৩৩.১ ওভার টিকতে পারে সফরকারী দল। ৯৬ রানেই গুঁটিয়ে যায় নামিবিয়া।
ইনিংসজুড়ে বল করেন বাঁহাতি শাকিল আহমেদ ও আমির কলিম, অফ স্পিনার জয় ওদেদরা ও সিদ্ধার্থ বুক্কাপত্তনম এবং লেগ স্পিনার সময় শ্রীবাস্তব। এ পাঁচজনই তুলে নেন সবক’টি উইকেট। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই ম্যাচে শুধুমাত্র স্পিনার দিয়েই প্রতিপক্ষ দলকে অলআউট করার রেকর্ড গড়ে ওমান। অন্যদিকে নামিবিয়ার খেলা ইনিংসটি কোনো ওয়ানডে ম্যাচে পেস বোলিং ছাড়া দীর্ঘতম। ম্যাচটি ২ উইকেটে জেতে ওমান। এর আগে গত বুধবার এ রাউন্ডের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে খেলে যুক্তরাষ্ট্র। সে ম্যাচেও যুক্তরাষ্ট্রের সবক’টি উইকেট তুলে নেন দলের স্পিনাররা।
সে ম্যাচে একজন পেসার ও মিডিয়াম পেসার ব্যবহৃত হলেও উইকেটের দেখা পাননি তারা। ওদিনের ম্যাচেও ৭ উইকেটে বড় জয় পায় ওমান। এক ওভারের জন্যও পেসাররা বল হাতে তুলে নেননি, ছেলে ও মেয়েদের মিলিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে এমনটি দেখা গেল চতুর্থবার। ছেলেদের ক্রিকেটে দ্বিতীয়বার। সবশেষ এমন চিত্র দেখা যায় ২০২০ -এর ফেব্রুয়ারিতে। সেবার কীর্তিপুরে নেপালের বিপক্ষে ৩৫ রানে অল আউট হয় যুক্তরাষ্ট্র, যা কিনা ওয়ানডে ইতিহাসের যৌথভাবে সবনিম্ন। ছোট এই রান তাড়ায় নেপাল ম্যাচটি জেতে ৫.২ ওভারেই।
এত দ্রুতই ম্যাচটি শেষ হয় যে দুই স্পিনার তিমিল পাটেল ও নোসতুশ কেনজিগের বাইরে অন্য কারো হাতে বল তুলে দেবার সুযোগই পাননি অধিনায়ক সৌরভ নেত্রবালকার। মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটা প্রথমবার ঘটে ২০১৭তে। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে বল করেন তিন স্পিনার সানা মির, নাশরা সান্ধু ও সাদিয়া ইউসুফ। মেয়েদের পরের ঘটনাটি গত বছরের, মিরপুরে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৮ রানের পুঁজি গড়ে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। যা টপকে যেতে অজি মেয়েরা খেলে ২৩.৫ ওভার। পুরো ইনিংসে বল করেন টাইগ্রেসদের পাঁচ স্পিনার নাহিদা আক্তার, সুলতানা খাতুন, রাবেয়া খান, স্বর্ণা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন। চলতি বছরেই ফ্র্যাঞ্চাইজে ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটে প্রথমবারের মতো। গত ২৫শে জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার এস এ টোয়েন্টিতে প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এই কৌশলেই ম্যাচ জেতে পার্ল রয়্যালস। সেদিন নির্ধারিত ২০ ওভার করেন দলের পাঁচ স্পিনার বিওর্ন ফরচুইন, দুনিথ ভেল্লালাগে, মুজিব উর রহমান, নাকাবা পিটার ও জো রুট।