দেশ বিদেশ
আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার
সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ করে কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ছেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। গতকাল সকাল ৮টা থেকে সাভারের বিশমাইল-জিরাবো সড়কের আমতলা এলাকায় এ অবরোধ ও বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা। এ সময় যানজটে দুর্ভোগে পড়েন পথচারী ও সাধারণ মানুষ।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, মালিকপক্ষ এখনো গত মাসের বেতন পরিশোধ করেননি। মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের বেতন দেয়ার কথা থাকলেও বেতন পরিশোধ না করায় গত ৯ই ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন কারখানাটির শ্রমিকরা। এরই মধ্যে রোববার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে কারখানায় গিয়ে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। পরে তারা কারখানার সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেতন পরিশোধসহ কারখানা খুলে না দিলে তারা রাস্তা ছাড়বে না বলেও জানায়।
কারখানাটির শ্রমিক শাহ আলম বলেন, আমরা গত মাসের বেতন পাবো। মাসের প্রথম সপ্তাহে দেয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ বেতন পরিশোধ না করে নানা টালবাহানা শুরু করছেন। এদিকে বাসা-ভাড়া ও দোকানের বাকি টাকার জন্য বাসার মালিক ও দোকান মালিক তাদেরকে চাপ দিচ্ছেন। রোববার সকালে আমাদেরকে কারখানায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমরা অবিলম্বে কারখানা খুলে দেয়াসহ বকেয়া বেতন পরিশোধের জোর দাবি জানাই। কারখানাটির মার্কেটিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং ডিরেক্টর মো. তারেকুল ইসলাম বলেন, আমরা অতীতে শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন পরিশোধ করেছি। ডিসেম্বর মাসের বেতনও মালিক বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করে পরিশোধ করেছেন। বর্তমানে আমরা ব্যাংক সুবিধা পাচ্ছি না। সরকার পতনের পর বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাংক আমাদের সুবিধা দিচ্ছে না। ফলে বেতন পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। তবে শিগগিরই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সকাল থেকে কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিশমাইল-জিরাবো সড়কটি অবরোধ করে বসে আছেন। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশের টিম রয়েছে। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। মালিক দেশের বাইরে থাকায় অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং সমস্যার কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছে না বলে জানতে পেরেছি। আমরা বিজিএমইএ-তেও খবর দিয়েছি। শ্রমিকরা মালিকপক্ষ বা বিজিএমইএ থেকে আশ্বাস না পেলে সড়ক ছাড়বে না। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা। পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।