রাজনীতি
গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে হবে: রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৫:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:২১ অপরাহ্ন

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে। সুতরাং আমরা প্রত্যাশা করি এই সরকার জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আর এটা এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে হবে। এসময় স্থানীয় সরকার আগে করার কারণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর এল এ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মেঘনা উপজেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে রিজভী আরো বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছে, যাদের দমন পীড়ন করেছে শেখ হাসিনা। তাদের প্রতি কি আপনাদের বিশ্বাস নেই। কারণ প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা। এই সরকারের উচিত গণতন্ত্র ও সংস্কারকে চলমান রাখার জন্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। মেঘনা উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবদুল ওদুদ মুন্সির সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়া। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার ও সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি প্রমুখ। এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।
পাঠকের মতামত
National Parliament Election Fast and First! No excuse here.
আওয়ামী দানবীয় শাসনামলে একটা কথা ব্যাপক ভাবে উচ্চারিত হতো উন্নয়ন উন্নয়ন আর উন্নয়ন। সেই স্থলে আরেকটা নতুন শব্দ এসে তোলপাড় শুরু করেছে নির্বাচন নির্বাচন আর নির্বাচন। এতে ফ্যাসিবাদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল চাচ্ছে পরিপূর্ন সংস্কার শেষে নির্বাচন আর সেখানে বিএনপি ব্যাকুল হয়ে আহাজারি করছে সংস্কারের আগেই নির্বাচন নির্বাচন। সংস্কারে বিএনপির এত ভয় কিসের জনগনের প্রশ্ন।
বিএনপি ২৪ ঘন্টার প্রতিটি কথায় ৯৯%৯৯ শুধু নির্বাচন আর নির্বাচন, তাদের বিপরিতে দেশবাসির চাওয়া আগে সংস্কার ১০০% এবং সৈরাচার আওয়ামী ফেসিস্তাটের বিচার শেষ করা, এরপর স্হানীয় নির্ভেজাল, স্বচ্চ ও নিরপক্ষ নির্বাচন শেষে জাতীয় নির্বাচন।
বিএনপি সম্পূর্ণ পাগল হয়ে গেছে। বেশি খেতে গেলে অল্পের লাগুড়ও পাবে না। মানুষ বুঝে শুনেই ভোট দিবে সব নির্বাচনে।
সংসদ নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন হলেও স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীরা নিরংকুশ সফলতা লাভ করবে । এটা নিশ্চিত ।কিন্তু প্রশ্ন হল- স্থানীয় নির্বাচনের দোহায় দিয়ে সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যাবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে , এখানেই বিএনপির সংশয় । দেশ যদি যে কোন নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়েই থাকে তবে দেরী না করে সংসদ নির্বাচনই তো করে ফেলা উচিত ।
বিএনপি এখন ক্ষমতার জন্য উম্মাদ হয়ে গেছে। শীঘ্রই তাদেরকে ক্ষমতার সরোবরে ফেলে না দিলে ক্ষমতার ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে বিএনপির সব নেতা কর্মী ক্ষমতা কেড়ে নিতে দাস্যুতার আশ্রয় নিতে পারে। দেশবাসী সতর্ক থাকুন যেকোন মুহুর্তে বিএনপির ক্ষমতা উম্মাদনা দেশের বারটা বাজিয়ে দিতে পারে।
আগে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে, স্থানীয় নির্বাচন ও একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে হোক, জনগন কাউকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পাড়ছে না
আগে হবে স্থানীয় নির্বাচন। ধান্দাবাজির জায়গা হবে না আর।